সরকারি হাসপাতালের ছাদে গৃহকর্মীকে ‘গণধর্ষণ’

সরকারি হাসপাতালের ছাদে গৃহকর্মীকে ‘গণধর্ষণ’

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলায় এক গৃহকর্মীকে (১৯) সরকারি হাসপাতালের ছাদে নিয়ে ‘গণধর্ষণের’ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে ৫ জনের বিরুদ্ধে।

সোমবার সকালে ভুক্তভোগীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য পিরোজপুর জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ে পাঠিয়েছে পুলিশ।

এর আগে গত শুক্রবার সন্ধ্যায় গণধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে। গতকাল রবিবার ভুক্তভোগী গৃহকর্মী মঠবাড়িয়া থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। এতে আসামি করা হয় উপজেলার দাউদখালী গ্রামের আফজাল খানের ছেলে সুমন খান (২২), ছালাম হাওলাদারের ছেলে ইমরান হাওলাদার (২০) ও জিয়াম হাওলাদারের ছেলে রাজু হাওলাদারের (২৫) বিরুদ্ধে। এছাড়া অজ্ঞাত আরও ২জনকে এ মামলায় আসামি করা হয়।

মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, ওই তরুণী উপজেলার দেবত্র গ্রামের এক বাড়িতে গৃহকর্মীর কাজ করতেন। তার নিজ গ্রাম থেকে দেবত্রতে যাওয়া আসার সময় মামলার আসামিরা তাকে উত্যক্ত করতো। বিভিন্ন সময় তাকে কুপ্রস্তাব ও বাজে ইঙ্গিত দিতো।

গত শুক্রবার সন্ধ্যায় ওই তরুণী কাজে যাওয়ার সময় আসামিরা তাকে তুলে নিয়ে গেয়ে সাতঘর সরকারি ক্লিনিকের ছাদে দিয়ে গিয়ে আটকে রাখে।

রাতের দিকে ক্লিনিকের ছাদে তরুণীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে সুমন, ইমরান, রাজু ও অপর দুই ব্যক্তি। রাত দেড়টার দিকে আব্দুর রহমান নামে এক ব্যক্তি ক্লিনিকটির পাশ দিয়ে মাছ শিকার করতে যাওয়ার সময় শব্দ পান। তিনি ছাদে গিয়ে টর্চের আলো ফেললে আসামিরা পালিয়ে যায়। পরে আব্দুর রহমান ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে বাড়ি পৌঁছে দেন।

মঠবাড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)সৈয়দ আব্দুল্লাহ বলেন, ওই তরুণীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

এমজে/