‘জাহাঙ্গীরনগরের মতো ঘটনা অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোতেও হচ্ছে’

‘জাহাঙ্গীরনগরের মতো ঘটনা অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোতেও হচ্ছে’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেছেন, সততার শিক্ষা দেয়ার দ্বায়িত্ব শিক্ষকদের। এ শিক্ষা দিতে ব্যর্থ হচ্ছি বলেই আমাদের সন্তানেরা চাঁদাবাজি করছে। অভিভাবক হিসেবে, শিক্ষক হিসেবে এ ব্যর্থতা আমাদের।

তিনি বলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) যে ঘটনা ঘটেছে তাতে শিক্ষকরা লজ্জিত। শুধুমাত্র জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় নয় অন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও এসব ঘটছে। ভাগাভাগিগুলো এমনভাবে হচ্ছে যে, সেগুলো আর গণমাধ্যমে আসছে না। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নকাজ হবে, এটি শিক্ষক-শিক্ষার্থী সবাই চাইবে। এখানে যারা ভাগ বসায়, এখান থেকে টাকা চায় এটি অচিন্তনীয়। কেন তারা এসব করছে? শুধু কি শিক্ষার্থীদের দোষ? কারা তাদের ব্যবহার-অপব্যবহার করছে-এটিও দেখতে হবে। আমরা দেখেছি প্রশাসন থেকে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের যোগসাজশে অপকর্ম হচ্ছে। এগুলোও তদন্ত হওয়া উচিত।

শিক্ষা দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদ (স্বাশিপ) আয়োজিত ‘আমাদের শিক্ষা ও আজকের ভাবনা’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, শিক্ষার জন্য আন্দোলন করেছে যে জাতি সে জাতির তো কোনো অন্যায় করার কথা নয়, কোনো দুর্নীতি করার কথা নয়। একজন সুশিক্ষিত মানুষ কখনো মিথ্যা বলতে পারে না, সুশিক্ষিত মানুষ দুর্নীতি করতে পারে না। কিন্তু আমরা দেখছি, যিনি দুর্নীতি করছেন তিনি উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত। কিসের উচ্চশিক্ষা? এটি তথাকথিত উচ্চশিক্ষা, তার শুধু সনদ রয়েছে। বঙ্গবন্ধু এ কথাটিই বলে গেছেন যে, সাধারণ মানুষ দুর্নীতি করে না, দুর্নীতি করে তথাকথিত উচ্চশিক্ষিতরা। তিনি আরও বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা ছাড়াই ছাত্র ভর্তি হয়েছে। তারা আবার ডাকসুতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকেই তাদের ভর্তির সুযোগ দেয়া হয়েছে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির একমাত্র নিয়ম ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেয়া।

এমজে/