বাস্তবায়নের পূর্বেই সড়ক পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের চাপে ‘সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮’ সংশোধনের উদ্যোগে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। জনস্বার্থবিরোধী, অন্যায্য ও আত্মঘাতী চাপে প্রভাবিত না হয়ে সড়ক পরিবহন ব্যবস্থায় ন্যায়বিচার, সুশাসন ও শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার পরিপন্থি এ উদ্যোগ প্রতিহত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।
শনিবার এক বিবৃতিতে টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ অনুযায়ী, পরিবহন মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের অযৌক্তিক দাবি-দাওয়া ও চাপে সরকার যদি নতি স্বীকার করে তা হবে আদালত অবমাননা ও জনস্বার্থের পরিপন্থি। বিশেষ করে জাতীয় সড়ক নিরাপত্তা পরিষদ কর্তৃক গঠিত কমিটির বৈঠকে মালিক-শ্রমিক সংগঠনের পক্ষ থেকে উপস্থাপনকৃত দাবি-দাওয়া সড়ক পরিবহন আইনভঙ্গের জন্য সাজার মেয়াদ কমানোর দাবিটি সরাসরি সর্বোচ্চ আদালতের রায়ের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এছাড়া আইনের সকল ধারা জামিনযোগ্য করাসহ অর্থদ- হ্রাস করা ও ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার শিক্ষাগত যোগ্যতা পঞ্চম শ্রেণি করা ইত্যাদি অধিকাংশ দাবি-দাওয়া সড়ক পরিবহন ব্যবস্থায় সুশাসন, ন্যায়বিচার, জননিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় কোনোভাবেই সহায়ক হবে না।
ড. জামান আরো বলেন, পার্শ্ববর্তী দেশসমূহের এ সংক্রান্ত আইনের সঙ্গে তুলনামূলক পর্যালোচনা ও সামঞ্জস্যের যুক্তি উল্লেখ করা হলেও পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের চাপে প্রভাবিত হয়েই যে আইনটিকে দুর্বল করে দেয়ার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে, তা সহজেই বোধগম্য। স্বার্থের সংঘাতে জর্জরিত জাতীয় সড়ক নিরাপত্তা পরিষদই ষড়যন্ত্রের কাছে নতজানু হয়ে একদিকে সড়ক পরিবহনের ক্রমবর্ধমান নিরাপত্তাহীনতা ও নৈরাজ্যের সুরক্ষার পথ অবলম্বন করছে ও অন্যদিকে বিশ্বনন্দিত নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের শিশু- কিশোর শিক্ষার্থীদর দাবিকে অবজ্ঞা করার চরম নিষ্ঠুর দৃষ্টান্ত স্থাপন করছে।
এমআই