আওয়ামী লীগ নেতার ছেলে কর্তৃক ধর্ষণ

কিশোরী ক্রিকেটার অন্তঃসত্ত্বা

কিশোরী ক্রিকেটার অন্তঃসত্ত্বা

খুলনা, ৬ ফেব্রুয়ারি (জাস্ট নিউজ) : খুলনায় স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতার ছেলে কর্তৃক ধর্ষণের শিকার হয়ে এক কিশোরী ক্রিকেটার অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে। লোকলজ্জার ভয়ে মাতৃহারা কিশোরীর জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। সে এখন আর ক্রিকেট খেলতে মাঠে যেতে পারছে না। ধর্ষণের শিকার হওয়ায় সম্ভাবনাময় এক প্রমিলা ক্রিকেট প্রতিভার মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় গত রোববার মেয়েটির বাবা খুলনা থানায় মামলা করেছেন।

ধর্ষণের দায়ে অভিযুক্ত নয়ন নগরীর নিরালার ২ নম্বর কাশেমনগর লেন এলাকার ইট-বালু ব্যবসায়ী বজলুর রহমানের ছেলে। বজলুর রহমান স্থানীয় ২৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক, ওয়ার্ড পুলিশিং কমিটির সদস্য এবং ২ নম্বর কাশেমনগর জনকল্যাণ সমিতির সভাপতি।

ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরী জানায়, ক্রিকেট খেলার কথা বলে প্রতিবেশী নয়ন মামা আমাকে গল্লামারী যেতে বলে। আমি তার কথামত অটোবাইকে করে গল্লামারী যাই। সেখানে আগে থেকেই নয়ন মামা অপেক্ষা করছিল। আমি যাওয়ার পর নয়ন আরেকটি অটো নিয়ে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে থেকে রিয়াল ভাইয়াকে ওঠায়। কৈয়া ব্রিজ এলাকায় গিয়ে আবার অটো পরিবর্তন করে। সেখান থেকে আবারো অটো বদলে কৈয়া ব্রিজ পার হয়ে মাঝের ভেড়ি এলাকায় রিয়ালের নানার মাছের ঘেরে নিয়ে যায়। সেখানে একটি ঘেরের বাসায় তাকে বসতে দিয়ে ফোন করে রিয়ালের এক মামাকে ডেকে আনা হয়।

এরপর তারা তিনজন বাইরে বসে কি যেন খায়। এ সময় সে চলে আসতে চাইলে তারা অস্ত্র বের করে আমাকে গুলি করে হত্যার ভয় দেখায়। নয়ন বলে, তুই যেতে পারবি না। আর এখানে যা হবে তা কাউকে বললে তোকে এবং তোর বাবাকে গুলি করে মেরে ফেলব। এর পর নয়ন ঘরে এসে আমাকে ধর্ষণ করে। এরপর রিয়াল এবং তার মামাও আমাকে ধর্ষণ করে। প্রায় দেড় ঘণ্টা পর হাতে ১০০ টাকা দিয়ে তারা আমাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়।

ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরী নগরীর নিরালাসংলগ্ন ২ নম্বর কাশেমনগর এলাকার বাসিন্দা এক নিরাপত্তা প্রহরীর মেয়ে। সে এবার নগরীর বানরগাতী ইউসেপ স্কুল থেকে অষ্টম শ্রেণীতে জেএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। এ ছাড়া স্থানীয়পর্যায়ের বেশ কয়েকটি ক্রিকেট টুর্নামেন্টে অংশ নিয়ে চ্যাম্পিয়ন ট্রফিসহ বিভিন্ন পুরস্কারও পেয়েছে। ধর্ষণের শিকার হওয়ার পর থেকে তার ক্রিকেট খেলা বন্ধ হয়ে গেছে।

এ ব্যাপারে খুলনা থানার ওসি এমএম মিজানুর রহমান বলেন, মেয়েটিকে মূলত নয়ন ধর্ষণ করে। তাকে ডাক্তারি পরীক্ষার পর ২২ ধারায় তার জবানবন্দী রেকর্ড করার জন্য গতকাল আদালতে পাঠানো হয়। এ ছাড়া ধর্ষক নয়নকে গ্রেফতারের জোর চেষ্টা চলছে।

(জাস্ট নিউজ/ওটি/১২৩১ঘ.)