জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী বলেছেন, গত শনিবার ভারত সফরত বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে যে সাতটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে, তাতে বাংলাদেশের স্বার্থকে জলাঞ্জলি দিয়ে ভারতের সব চাওয়া-পাওয়াকে পূরণ করা হয়েছে। এ সব চুক্তি সংবিধান পরিপন্থী ও দেশবিরোধী চুক্তি। দেশের জনগণ এ সব চুক্তি কখনও মেনে নিবে না।
রবিবার এক বিবৃতিতে জমিয়ত মহাসচিব বলেন, ভারতের সঙ্গে নতুন এ সব চুক্তির মাধ্যমে মূলত স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের সমুদ্রবন্দর, নদীপথ, ফেনী নদীর পানি এবং জ্বালানি সংকটে জর্জরিত বাংলাদেশের মূল্যবান প্রাকৃতিক গ্যাস ভারতের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে।
এ ছাড়াও এ সব চুক্তির মাধ্যমে দেশের সার্বভৌম নিরাপত্তার কথা না ভেবে উপকূলীয় নজরদারির কথা বলে বাংলাদেশে ভারতকে রাডার স্থাপনের অনুমতি দেয়া হয়েছে। অথচ এই দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বাংলাদেশের অর্জনের খাতা একেবারেই শূন্য।
তিনি বলেন, সরকার এ যাবৎ ভারতকে দুই সমুদ্রবন্দর দিল, ট্রানজিটের জন্য রাস্তা দিল, রেলপথ দিল, নদীপথ দিল, তরল প্রাকৃতিক গ্যাস দিল, ফেনী নদীর পানি দিল, বাংলাদেশে সমরাস্ত্র বেচার সুযোগ করে দিচ্ছে এবং বর্ডারে পাখির মতো বাংলাদেশি হত্যায় নিশ্চুপ থাকছে।
তিস্তার পানিবণ্টন নিয়ে দীর্ঘ একযুগ দৌড়-ঝাঁপ করেও একফোঁটা পানি আনতে পারেননি। ভারতকে কৃতজ্ঞতা হিসেবে এই সরকারের আর কি কি দেয়ার বাকি আছে, জনমনে এখন এটাই বড় প্রশ্ন উঠেছে।
আল্লামা কাসেমী আরো বলেন, ভারত নিজেদের স্বার্থ ১৬ আনা বুঝে নিচ্ছে। আর সরকার বাংলাদেশের স্বার্থ একে একে বিসর্জন দিয়ে যাচ্ছে। এটা কী ধরনের বন্ধুত্ব?
ভারতের সঙ্গে সরকার কি কি চুক্তি করছে তা জানার অধিকার বাংলাদেশের জনগণের অবশ্যই রয়েছে। দেশের সংবিধান এই অধিকার দেশের জনগণকে দিয়েছে।
আমরা ফেনী নদীর পানিসহ সব দেশবিরোধী চুক্তির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে চুক্তি বাতিলের দাবি জানাচ্ছি।
এমআই