পুলিশ-জনতা সংঘর্ষে রণক্ষেত্র ভোলা, নিহত ৪, শতাধিক আহত

পুলিশ-জনতা সংঘর্ষে রণক্ষেত্র ভোলা, নিহত ৪, শতাধিক আহত

ভোলায় হিন্দু ধর্মালম্বী এক ব্যক্তির আল্লাহ ও রাসুল (স.) কে নিয়ে কটুক্তির প্রতিবাদে সাধারণ মুসুল্লিদের ডাকা বিক্ষোভ কর্মসূচিতে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

রবিবার সকাল থেকে শুরু হওয়া সমাবেশে হঠাৎ পুলিশের সঙ্গে সাধারণ জনতার সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে অন্তত নিহত ৪ জন নিহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

প্রশাসন নিশ্চিত করতে না পারলেও স্থানীয়ভাবে নিহতদের পরিচয় জানা গেছে। তারা হলেন, বোরহানউদ্দিন পলিটেক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী শাহীন (২১), স্থানীয় কওমী মাদ্রার ছাত্র মাহবুব পাটোয়ারী (১৬), মাহফুজুর রহমান পাটোয়ারী (২৩) ও মিজান (৩০)। নিহতদের বাড়ি একই এলাকায়। নিহত মাহফুজ বোরহানউদ্দিন পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের সাবেক কমিশনার মিরাজ পাটোয়ারীর ভাই।

এই ঘটনায় পুলিশসহ আহত শতাধিক বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। আহত পুলিশকে হাসপাতালে নিলেও সাধারণ মানুষ বিভিন্ন ঘরে আটকা পড়েছেন। এই বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে গ্রামেগঞ্জেও। গুরুতর গুলিবিদ্ধ ৮ জনকে ভোলা সদর হাসপাতালে আনা হয়েছে।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, হিন্দু ধর্মাবলম্বী বিপ্লব চন্দ্রের ফেসবুক আইডি থেকে তার বন্ধু তালিকার বেশ কয়েকজনের কাছে আল্লাহ এবং রাসুল (সঃ) কে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ ভাষায় গালির ম্যাসেজ আসে।

বিপ্লব চন্দ্র শুভ বোরহানউদ্দিন উপজেলার কাচিয়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের চন্দ্র মোহন বৈদ্দের ছেলের আইডি থেকে এই ম্যাসেজ আসাকে কেন্দ্র করে সাধারণ মুসুল্লিদের ব্যানারে আজ সকাল ১০টায় বিক্ষোভের ডাক দেয়া হয়। সকাল থেকে বোরহানউদ্দিন উপজেলার গ্রামগঞ্জ থেকে মুসুল্লিরা শহর অভিমুখে আসতে থাকে। এতে ভোলার পুলিশ সুপার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য পুলিশ মোতায়েন করেন। পুলিশ সভা সংক্ষিপ্ত করার জন্য নির্দেশ দেয়ার পরপরেই সংঘর্ষের শুরু হয়। প্রথমে এক পুলিশ সদস্য গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর পুলিশ আত্মরক্ষার্থে গুলি ছুঁড়লে পুলিশের গুলিতে পথচারিসহ বিক্ষোভকারী আহত হন।

এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ভোলা শহর পুলিশের নিয়ন্ত্রণে থাকলেও গ্রামগঞ্জে বিক্ষোভ চলমান। ভোলা সদর পুলিশ লাইন্স থেকে অতিরিক্ত পুলি ডেকে পাঠানো হয়েছে।

এমজে/