মারধরের পর ধারালো অস্ত্রে গৃহবধূকে গলা কেটে হত্যা

মারধরের পর ধারালো অস্ত্রে গৃহবধূকে গলা কেটে হত্যা

হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলায় মারধরের পর ধারালো অস্ত্র দিয়ে এক গৃহবধূকে গলা কাটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার স্বামীর বিরুদ্ধে। নিহতের নাম মাহফুজা বেগম (২৫)।

সোমবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে উপজেলার বুল্লা ইউনিয়নের ভরপূর্ণি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত মাহফুজা বেগম একই ইউনিয়নের গোয়াকাড়া গ্রামের শীর ইসলামের মেয়ে।

এ ঘটনায় স্বামী মকসুদ আলীকে (৩৫) আটক করেছে পুলিশ।

বুল্লা ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড মেম্বার মহিবুর রহমান জানান, প্রায় ১০ বছর আগে গোয়াকাড়া গ্রামের বাসিন্দা শীর ইসলামের মেয়ে মাহফুজা বেগমকে বিয়ে করেন ভরপূর্ণি গ্রামের মৃত খেলু মিয়ার ছেলে মকসুদ আলী। তাদের সংসারে এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।

বিয়ের পর থেকে নানা কারণে তাদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দেয়।

সোমবার রাতে স্বামী-স্ত্রীর মাঝে ঝগড়া হয়। এ সময় মকসুদ আলী মারধরের একপর্যায়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে স্ত্রী মাহফুজাকে হত্যা করে।

তবে কী কারণে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে, তা বলা যাচ্ছে না। তবে দীর্ঘদিন ধরে তাদের মধ্যে ঝগড়া-বিবাদ লেগেছিল।

খবর পেয়ে লাখাই থানার ওসির নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের স্বামীকে আটক করেছে। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে গেছে বলে জানান মেম্বার মহিবুর রহমান।

এমজে/