ভোলায় সংঘর্ষ: তদন্ত শেষে ১১৫ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন জমা

ভোলায় সংঘর্ষ: তদন্ত শেষে ১১৫ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন জমা

ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায় ফেসবুক ইস্যুতে হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ সদর দফতরের তদন্ত শেষে প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়েছে।

২৫০ পৃষ্ঠার ফাইলে মূল ১১৫ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে হামলাকারীদের নানা তথ্য-উপাত্ত রয়েছে। গত সাত দিনের তদন্তকালে প্রত্যক্ষদর্শী ১০৯ জনের বক্তব্য রেকর্ড করা হয় বলে তদন্ত কমিটি সূত্র জানায়।

তবে পুলিশ সদর দফতর থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিবেদন প্রকাশ না করায় তদন্ত কর্মকর্তারা এ মুহূর্তে প্রতিবেদনের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পরে জানাবেন বলে জানান।

সোমবার তদন্ত কমিটির সদস্য ভোলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর সাফীন মাহামুদ জানান, রোববার ওই প্রতিবেদন পুলিশ সদর দফতরে জমা দেয়া হয়েছে।

বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজি মো. সফিকুল ইসলামকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়।

অন্য সদস্যরা হলেন- পুলিশ সদর দফতরের পুলিশ সুপার মর্যাদায় এআইজি মো. মোর্শেদ আলম, এসবির এসপি হাসিবুল আলম শামিম, পিবিআইয়ের এসপি মো. মিজানুর রহমান, ভোলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মীর মো. সাফীন মাহমুদ। তারা গত ২৭ অক্টোবর ভোলার বোরহানউদ্দিনে অবস্থান করে তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করেন।

ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায় ফেসবুক ইস্যুতে ২০ অক্টোবর পুলিশের সঙ্গে তৌহিদি জনতার ব্যানারে একটি গ্রুপের সংঘর্ষ হয়। ওই সময় চারজন নিহত হন এবং পুলিশসহ আহত হন অর্ধশতাধিক।

হামলাকারীরা পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি, পুলিশ সুপার, ইউএনওসহ কর্মকর্তাদের হত্যা করতে মারমুখী হামলা করে। প্রতিবেদনে এসব বিষয়ও ওঠে আসে। কারা হামলা করেছে, এমন বেশ কিছু হামলাকারীর তথ্যও সংযুক্ত হয়েছে প্রতিবেদনে।

এমজে/