ছাতকে সংঘর্ষে নিহত ১, আহত শতাধিক, ১৪৪ ধারা জারি

ছাতকে সংঘর্ষে নিহত ১, আহত শতাধিক, ১৪৪ ধারা জারি

সুনামগঞ্জের ছাতকে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে দুই গ্রামবাসীর দফায়-দফায় সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। এতে ব্যবসায়ী, পথচারীসহ আহত হয়েছেন শতাধিক ব্যক্তি।

বুধবার সন্ধ্যায় গোবিন্দগঞ্জের সাদা বীজ এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

সংঘর্ষে গুরুতর আহত ২০ জনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইয়াকুব আলী নামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়।

সংঘর্ষ চলাকালে সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কের সাদা ব্রীজ এলাকায় প্রায় দুই ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে। এতে সিলেট-সুনামগঞ্জ ও ছাতক-গোবিন্দগঞ্জ সড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।

সংঘর্ষের সময় কয়েকটি সিএনজি অটোরিক্সা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে ব্যাপক ইট-পাটকেল ও কাঁচের বোতল ব্যবহার করা হয়। উভয়পক্ষ কয়েক রাউন্ড গুলি বিনিময়ও করেছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ অন্তত ৩০ রাউন্ড টিয়ারসেল ও ফাঁকা গুলি নিক্ষেপ করে।

খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ গোলাম কবির ঘটনাস্থলে পৌঁছে গোবিন্দগঞ্জ পুলের মুখ ও আশপাশ এলাকায় রাত ৮ থেকে পরদিন সকাল ৮ পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করেন। এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মঙ্গলবার রাতে রেলওয়ের লালপুল এলাকায় মদ্যপ অবস্থায় শিবনগর গ্রামের প্রতিপক্ষদের উদ্দেশ্য করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন দিঘলী গ্রামের হারুন মিয়ার ছেলে ফয়সাল আহমদ। গ্রামের লোকজনকে গালিগালাজ করতে বাধা দিলে বাকবিতণ্ডা ও হাতা-হাতির ঘটনা ঘটে।

এর জের ধরে বুধবার বিকালে সিএনজি যোগে যাওয়ার পথে সাদা ব্রীজ এলাকায় গাড়ির গতিরোধ করে গাড়ি থেকে নামিয়ে সাজু মিয়া নামের এক যুবককে মারপিট করে ফয়সাল ও তার সহযোগীরা। এক পর্যায়ে স্থানীয় লোকজন গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে সিএনজিতে তুলে ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে দেন। এ ঘটনার জের ধরে সন্ধ্যায় শিবনগর ও দিঘলী গ্রামবাসী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী দফায়-দফায় সংঘর্ষে এলাকা পরিণত হয় রণক্ষেত্রে। আশপাশের সকল দোকান-পাট বন্ধ করে দেওয়া হয়।

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রায় এক ঘণ্টা চেষ্টা করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।

নিহত ইয়াকুব আলী (৩০) শিবনগর গ্রামের খুরশিদ আলীর ছেলে। সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু ঘটে।

ছাতক থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

এমজে/