কেনাকাটায় দুর্নীতি: স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ১২ জনকে তলব

কেনাকাটায় দুর্নীতি: স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ১২ জনকে তলব

অবৈধ সম্পদ এবং অর্থপাচারের অভিযোগ অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ১২ জন কর্মকর্তা–কর্মচারীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। রবিবার দুদকের উপ-পরিচালক সামছুল আলম ওই ১২ জনকে তলব করে চিঠি পাঠান।

দুদকের মুখপাত্র প্রণব কুমার ভট্টাচার্য গণমাধ্যমকে বলেন, তাদের ২৪, ২৫ ও ২৬ নভেম্বর পর্যায়ক্রমে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অধীন বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে কেনাকাটায় দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান করতে গিয়ে সংস্থাটির অনেক কর্মকর্তা–কর্মচারীর অবৈধ সম্পদ অর্জনের তথ্য উঠে আসে। বিশেষ করে অধিদপ্তরের কেরানি আবজালের সম্পদের তথ্য চমকে দেয় সবাইকে। এরই ধারাবাহিকতায় বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা–কর্মচারীর সম্পদের অনুসন্ধান চলছে।

চলতি বছরের শুরুতে থেকে দুদকের উপপরিচালক শামছুল আলমের নেতৃত্বে একটি দল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নানা দুর্নীতি অনুসন্ধানে মাঠে নামে। দলের অন্য সদস্যরা হলেন উপসহকারী পরিচালক মো. সহিদুর রহমান ও ফেরদৌস রহমান।

দুদক জানিয়েছে, ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সাবেক পরিচালক আবুল কালাম আজাদ, টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজের সচিব সাইফুল ইসলাম, কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের স্টোরকিপার মোহাম্মদ সাফায়েত হোসেন ফয়েজ ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গাড়িচালক মো. শাহজাহানকে ২৪ নভেম্বর জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

২৫ নভেম্বর তলব করা হয়েছে রাজশাহী সিভিল সার্জন অফিসের হিসাবরক্ষক ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান সহকারী মো. আনোয়ার হোসেন, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সিনিয়র স্টোর কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম, কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের হিসাবরক্ষক আবদুল মজিদ ও সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ল্যাব সহকারী সুব্রত কুমার দাসকে।

২৬ নভেম্বর জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে খুলনা মেডিকেল কলেজের হিসাবরক্ষক মাফতুন আহমেদ রাজা, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অফিস সহকারী তোফায়েল আহমেদ, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মুজিবুল হক মুন্সি ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের (ডব্লিউএইচও) অফিস সহকারী কামরুল ইসলামকে।

এমআই