ময়লার ভাগাড়ে বস্তা বস্তা পঁচা পেঁয়াজ!

ময়লার ভাগাড়ে বস্তা বস্তা পঁচা পেঁয়াজ!

কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলায় ময়লার ভাগাড়ে বস্তা বস্তা পচা পেঁয়াজ ফেলা হয়েছে। পেঁয়াজের ঊর্ধ্বমূল্যের বাজারে গুদামজাত পচা পেঁয়াজের দুর্গন্ধে এলাকা সয়লাব হয়ে গেছে।

ময়লার ভাগাড়ে বস্তায় বস্তায় ফেলে দেয়া এসব পেঁয়াজের রহস্যের জটও খুলেছে। জানা গেছে, বেশি লাভের আশায় গুদামজাত করা বিপুল পরিমাণ পেঁয়াজ পচে যাওয়ায় ফেলে দেন আড়তদাররা।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, রবিবার রাতে বস্তাগুলো সেতুর নিচে ফেলে যাওয়া হয়। সোমবার সেতুর ওপর দিয়ে যাওয়ার সময় নিচে পেঁয়াজের বস্তা দেখে পথচারীদের মনে কৌতূহল হলে কেউ কেউ ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করেন, শুরু হয় আলোচনা। সেখানে আনুমানিক ৫০ বস্তা পেঁয়াজ ছিল।

পচে যাওয়ার পর অসাধু ব্যবসায়ীরা গুদামজাত পেঁয়াজগুলো সেতুর নিচে ফেলে গেছে বলে মনে করেন গৌরীপুর বাজারের ব্যবসায়ী মো. জামাল হোসেন।

তিনি বলেন, দাম বেড়ে যাওয়ায় একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী পেঁয়াজ গুদামজাত করে পচিয়ে ফেলেছে। এভাবে ফেলে দেয়া মানে দেশের সম্পদের অপচয় এবং ভোক্তার অধিকার হরণ। এমন অসাধু ব্যবসায়ীকে খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।

দাউদকান্দি উপজেলা নির্বাহী অফিসার কামরুল ইসলাম খান বলেন, আমরা প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি ফেলে যাওয়া পঁচা পেঁয়াজের বস্তাগুলো স্থানীয় ভাই ভাই এন্টারপ্রাইজের। এগুলো অবৈধভাবে মজুদ করেছিল কিনা তা তদন্ত সাপেক্ষে জানা যাবে।

এ বিষয়ে ভাই ভাই এন্টারপ্রাইজের স্বত্বধিকারী একরাম বলেন, মিয়ানমার থেকে টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে আমরা এই পেঁয়াজগুলো আমদানি করি। ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের কারণে পেঁয়াজগুলো যথাসময়ে আমরা খালাস করতে পারিনি। নির্ধারিত সময়ের অনেক পর পেঁয়াজগুলো খালাস করতে সক্ষম হলেও অনেক পেঁয়াজ সেখানেই পচে যায়।

এর পর টেকনাফ থেকে গৌরীপুরে আমাদের গোডাউনে নিয়ে আসতেই প্রায় ৭০ বস্তা পেঁয়াজ পচে গেছে।

পেঁয়াজগুলো বৈধভাবে আমদানি করা হয়েছে। অবৈধভাবে আমরা মজুদ করিনি। এতে আমরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি।

এমজে/