লন্ডনে বাংলাদেশ হাই কমিশনে অনাকাঙ্খিত ঘটনায় যুক্তরাজ্য বিএনপির দুঃখ প্রকাশ

লন্ডনে বাংলাদেশ হাই কমিশনে অনাকাঙ্খিত ঘটনায় যুক্তরাজ্য বিএনপির দুঃখ প্রকাশ

লন্ডন, ১৩ ফেব্রুয়ারি (জাস্ট নিউজ) : যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশ হাই কমিশনে অনাকাঙ্খিত ঘটনায় দু:খ প্রকাশ করেছেন যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালিক ও সাধারণ সম্পাদক কয়ছর এম আহমদ।

রবিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালিক ও সাধারণ সম্পাদক কয়ছর এম আহমদ এ দুঃখ প্রকাশ করেন।

বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে কথিত ও সাজানো জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টসহ বিভিন্ন মামলার পক্ষপাতদুষ্ট রায়কে কেন্দ্র করে যুক্তরাজ্য বিএনপির ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে বুধবারে (৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বাংলাদেশ হাই কমিশন লন্ডন অফিসের সামনে যুক্তরাজ্য বিএনপির পূর্ব নির্ধারিত ডেমন্সট্রেশন কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে আমরা পালন করছিলাম। উক্ত ডেমন্সট্রেশনে যুক্তরাজ্য বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের পাশাপাশি বিলেতের বিভিন্ন স্তরের ব্রিটিশ বাংলাদেশি কমিউনিটির নাগরিকবৃন্দও অংশ গ্রহণ করেন।

যুক্তরাজ্য বিএনপির নেতৃদ্বয় বলেন, ডেমন্সট্রেশন কর্মসূচির শেষের দিকে বিএনপির নেতৃবৃন্দ হাই কমিশনে একটি স্মারকলিপি প্রদান করতে চাইলে দায়িত্বপ্রাপ্ত হাইকমিশনার চরম অসৌজন্যমূলক আচরণের মাধ্যমে তা গ্রহণ করতে অপারগতা প্রকাশ করেন। লন্ডনস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনের এ ধরনের অসৌজন্যমূলক আচরণের খবর বাইরে অবস্থানরত ডেমোন্সট্রেশনে উপস্থিত ব্রিটিশ বাংলাদেশি কমিউনিটি ও বিএনপির কর্মীরা জানতে পারলে তাদের মনে অসন্তোষ ও ক্ষোভের সঞ্চার হয়।

তারা বলেন, এরই এক পর্যায়ে বাংলাদেশ হাই কমিশনে কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটে, যা ছিল অনাকাঙ্খিত ও অনভিপ্রেত এবং বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির সাথে সাংঘর্ষিক। দেশে ও প্রবাসে বিএনপি সবসময় শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করার পক্ষে। যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আমরা বাংলাদেশ হাই কমিশন লন্ডনে এই অনাকাঙ্খিত ঘটনার জন্য দু:খ প্রকাশ করছি।

নেতৃদ্বয় বলেন, যুক্তরাজ্য বিএনপি এবং এর অঙ্গসংগঠনের উদ্যোগে বাংলাদেশ হাই কমিশন লন্ডন অফিসের সামনে এর পূর্বেও বাংলাদেশে প্রতিনিয়ত গুম, খুন, হত্যা ও বিরোধী দলীয় নেতা কর্মীদের অন্যায়ভাবে গ্রেফতার, হয়রানি, নিপীড়ন-নির্যাতনের বিরুদ্বে বহুবার শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি আমরা পালন করেছি। ইতিপূর্বে কখনোই কোনো ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে নাই। আমরা বিশ্বাস করি হাইকমিশন অফিস কোনো দলের অফিস নয়। বাংলাদেশ হাই কমিশন আমাদের দেশের সকল নাগরিকদের প্রতিনিধিত্ব করে। তাই বাংলাদেশ হাই কমিশনের সম্মান ও মর্যাদা রক্ষা করা সকলের দায়িত্ব। পাশাপাশি আমরা প্রত্যাশা করি বাংলাদেশ হাইকমিশনের পক্ষ থেকে আগামীতে গণতান্ত্রিক মূলবোধ বজায় রেখে বাংলাদেশের সকল প্রবাসী নাগরিকের মত প্রকাশের অধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে নিরপেক্ষভাবে প্রজাতন্ত্রের কর্মকান্ড পরিচালনা করবেন।

(জাস্ট নিউজ/ওটি/১৫১১ঘ.)