হাতিয়াতে কোনো অস্তিত্ব নেই মজনুর, তথ্য নেই ইউনিয়ন পরিষদেও

হাতিয়াতে কোনো অস্তিত্ব নেই মজনুর, তথ্য নেই ইউনিয়ন পরিষদেও

ঢাবি ছাত্রীর ধর্ষক সিরিয়াল রেপিস্ট মজনুকে নিয়ে হাতিয়াজুড়ে চলছে নানা আলোচনা। নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ হাতিয়া উপজেলার জাহাজমারা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান এডভোকেট মাছুম বিল্লাহ গণমাধ্যমকে জানান, পুলিশ ও সাংবাদিকের ফোনে অতিষ্ঠ হয়ে ২ দিন থেকে ৯ ওয়ার্ডের ৭ মেম্বার ও চৌকিদার, দফাদার নিয়ে তন্ন তন্ন করে খোঁজাখুজির পর হাতিয়ার-জাহাজমারা গ্রামে মজনু, পিতা- মৃত মাহফুজুর রহমান, মা: সখিনা খাতুন নামে কাউকে পাইনি। ১২ বছর আগের তথ্য ইউনিয়ন পরিষদে নেই। স্ত্রী মারা গেছে, বাবা মারা গেছে, মা দেশের বাড়িতে থাকে। এ ধরনের কোন অস্তিত্ব নেই।

রেজাউল হক বাবু জানায়, ঢাবি ছাত্রী ধর্ষণের অভিযুক্ত আসামি নোয়াখালীর হাতিয়ায় নয়।

হাতিয়া প্রেস ক্লাবের সহ-সভাপতি ইসমাইল হোসেন কিরন জানান, আমরা গণমাধ্যম কর্মীরা সরেজমিন অনুসন্ধান করে ধর্ষক মজনুর কোন ঠিকানা আবিষ্কার করতে পারিনি।

হাতিয়া প্রেস ক্লাবের সেক্রেটারি ফিরোজ উদ্দিন জানায়, ইলেকট্রনিক মিডিয়া ও ক্যামেরাম্যানদের নিয়ে হাতিয়ার জাহাজমারার ৯নং ওয়ার্ডের মানুষের সাক্ষাৎকার গ্রহণকালেও এ ধরনের নাম, ঠিকানা জীবনে কোনদিন শুনেননি বলে জানান।

হাতিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল খায়ের গণমাধ্যমকে জানান, আমরা দুদিন ধরে শুধু জাহাজমারা নয়, পুরো হাতিয়ায় ধর্ষক মজনুর নাম-ঠিকানার সত্যতা যাচাইয়ের চেষ্টা করছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোথাও ওই ঠিকানায় ওই নামের কাউকে পাইনি।

এমআই