রাজউক আর দুর্নীতি সমার্থক অর্থেই ব্যবহৃত হয়: টিআইবি

রাজউক আর দুর্নীতি সমার্থক অর্থেই ব্যবহৃত হয়: টিআইবি

রাজউক ও দুর্নীতিকে সমার্থক হিসেবে আখ্যায়িত করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। বুধবার দুপুরে ধানমন্ডির মাইডাস সেন্টারে টিআইবির কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ আখ্যা দেওয়া হয়।

‘রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক): সুশাসনের চ্যালেঞ্জ উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘রাজউক আর দুর্নীতি একাকার, সমার্থক অর্থেই ব্যবহৃত হয়।’ তিনি বলেন, রাজউক একটি মুনাফা অর্জনকারী ও লাভজনক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত হয়েছে জনবান্ধব হতে পারেনি।

টিআইবির করা এই গবেষণায় বলা হয়, ভবন নির্মাণের ছাড়পত্র, নকশা অনুমোদন ও বাস্তবায়ন সম্পর্কিত বিভিন্ন পর্যায়ে একজন ব্যক্তিকে দুই হাজার থেকে সাড়ে ৪ লাখ টাকা এবং আবাসন ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানকে ২ হাজার থেকে ২ কোটি টাকা পর্যন্ত ঘুষ দিতে হয়। এ ছাড়া প্রকল্প সম্পর্কিত সেবার বিভিন্ন ক্ষেত্রে সরকার নির্ধারিত ফি এর হারের চেয়ে ২ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত অতিরিক্ত দিতে হয়।

গবেষণা পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, নিয়ন্ত্রণমূলক কাজকে গুরুত্ব না দিয়ে উন্নয়নমূলক কাজে অধিক গুরুত্বারোপ এবং আবাসন ও রিয়েল স্টেট ব্যবসার মাধ্যমে মুনাফাকে প্রাধান্য দেয় রাজউক। অন্যদিকে পরিকল্পনা প্রণয়ন অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলেও তা বারবার উপেক্ষিত থাকে।

টিআইবির পক্ষ থেকে উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণের পৃথক একটি সংস্থা গড়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কারণ সংস্থাটির মতে রাজউক যেহেতু মুনাফা অর্জনকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। তাই তাকে এ কাজ থেকে ফিরিয়ে আনা কঠিন।