সিঙ্গাপুরে আরেক বাংলাদেশি করোনা ভাইরাস আক্রান্ত

সিঙ্গাপুরে আরেক বাংলাদেশি করোনা ভাইরাস আক্রান্ত

সিঙ্গাপুরে আরেক বাংলাদেশি করোনা ভাইরাস আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে দেশটিতে দু’জন বাংলাদেশি আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হলো। সিঙ্গাপুরস্থ বাংলাদেশ মিশন জানিয়েছে, দেশটিতে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত প্রথম বাংলাদেশিকে আইসিইউতে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। তার অবস্থা অপরিবর্তিত রয়েছে। মঙ্গলবার শনাক্ত হওয়া দ্বিতীয় বাংলাদেশি ৩৯ বছর বয়সী। তিনি শেলেটার এরোস্পেস হাইর্টস এ কাজ করতেন। তিনি কাজের ভিসা নিয়ে দেশটিতে রয়েছেন। সিঙ্গাপুরের স্বাস্থ্য বিভাগ নিশ্চিত করেছে যে, করোনা ভাইরাস আক্রান্ত প্রথম বাংলাদেশিও ওই শেলেটার এরোস্পেস হাইর্টস- এর কর্মী ছিলেন।

গতকাল শনাক্ত হওয়া অন্যজন সিঙ্গাপুরের স্থায়ী বাসিন্দা বা পিআর। তিনি জহর বাহরু এলাকায় থাকেন এবং সিঙ্গাপুরের ঐহিত্যবাহী রিসোর্টস ওয়ার্ল্ড সান্তোসা ক্যাসিনোতে কাজ করেন। সিঙ্গাপুরের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক আপডেটে জানিয়েছে, মঙ্গলবার ওই বাংলাদেশিসহ নতুন করে দুই করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যাক্তিকে দুজনকে শনাক্ত করারর মধ্য দিয়ে দেশটিতে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ৪৭ জনে।

৬০৮ জনকে পরীক্ষা নিরীক্ষা করার পর তাদের শরীরে ভাইরাসটির অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। এখন পরীক্ষার বাকী আছেন ৪৩ জন, তাদের কোয়ারেন্টাইন অবস্থায় রাখা হয়েছে। আক্রান্ত ৯ জন সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন। বাকীদের মধ্যে ৭ জনের অবস্থা সংকটাপন্ন, আইসিইউতে নিবিড় পর্যবেক্ষণে তাদের চিকিতসা চলছে।

বাংলাদেশ মিশন জানিয়েছে- করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসার বিষয়টি সিঙ্গাপুরের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় মনিটর করছে। তবে সর্বশেষ যে তথ্য পাওয়া গেছে তাতে জানা গেছে- আক্রান্ত প্রথম বাংলাদেশি যে ডরমিটরিতে থাকতেন তার সব সদস্যকে হাসপাতালে নিয়ে গেছে সরকার। তাদের কারও শরীরে করোনার ভাইরাস জীবাণু ছড়িয়েছে কি-না? সেটির পরীক্ষা নিরীক্ষা হয়েছে। ওই ডরমিটরির ১৯ জন বাসিন্দার মধ্যে ৯ জন বাংলাদেশি ছিলেন।

তাদের সম্পূর্ণ আলাদা বা কোয়ারেন্টাইন করে রাখা হয়েছিল। দূতাবাস জানিয়েছে ডরমিটরির অন্য কারও শরীরে ভাইরাসটির ছড়ায়নি বলে পরীক্ষা নিরীক্ষায় নিশ্চিত হওয়া গেছে। মিশন সূত্র বলছে অর্থনৈতিক কারণে সিঙ্গাপুরে চীনসহ গোটা দুনিয়ার লোকজন যাতায়াত রয়েছে। কারও যাতায়াতে বিধি নিষেধ (রেড অ্যালার্ট) আরোপ করা না হলেও সিঙ্গাপুর সরকার করোনা সতর্কতায় বেশ আগে থেকেই অরেঞ্জ এলার্ট জারি রেখেছে।

উল্লেখ্য, যে দু’জন বাংলাদেশি আক্রান্ত বলে শনাক্ত হয়েছেন তাতে কেউ চীন সফর করেছেন এমন রেকর্ড পাওয়া যায়নি।