‘গত নির্বাচনে ৩০ শতাংশের কম ভোট পড়েছে, আরো ৫০ শতাংশ বাড়তি দেখানো হয়েছে’

‘গত নির্বাচনে ৩০ শতাংশের কম ভোট পড়েছে, আরো ৫০ শতাংশ বাড়তি দেখানো হয়েছে’

গত জাতীয় নির্বাচনে ৩০ শতাংশেরও কম ভোট পড়েছিলো বলে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন অর্থনীতিবিদ ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. আকবর আলি খান। শনিবার সুশাসনের জন্য নাগরিক বা সুজনের সপ্তম জাতীয় কাউন্সিলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এমন মন্তব্য করেন তিনি। বলেন, সর্বশেষ নির্বাচনে হয়ত ৩০ শতাংশেরও কম ভোট পড়েছিলো এবং পরে আরো ৫০ শতাংশ বেশি করে তা দেখানো হয়েছে।

আকবর আলি খান জানান, যেখানে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ভোট পড়েছে ৩০ শতাংশেরও কম সেখানে জাতীয় নির্বাচনে ৮০ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে দেখানো হয়েছিলো। সাধারণত, জাতীয় নির্বাচনে ভোট দেয়ার হার তুলনামূলক কম থাকে কারণ সেখানে রাজনৈতিক দলগুলো তৃণমূল পর্যায়ে আশানুরূপ সংগঠিত থাকে না। কিন্তু যখন ইউনিয়ন পরিষদ অথবা নগর পর্যায়ে নির্বাচন হয় তখন স্থানীয় প্রার্থীরা অনেক বেশি সক্রিয় থাকে। তারা তাদের আত্মীয়, বন্ধু-বান্ধব ও শুভাকাক্সক্ষী সকলকেই ভোট দিতে উৎসাহিত করে। তাই কোনোভাবেই সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ভোট প্রদানের হার জাতীয় নির্বাচনের থেকে বেশি হতে পারে না।

ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে দক্ষিণ সিটিতে ভোট পড়েছিলো ২৯ শতাংশ এবং উত্তর সিটিতে পড়েছিলো ২৫.৩২ শতাংশ।

আকবর আলি খান বলেন, নির্বাচন কমিশনের উচিৎ প্রতিটা কেন্দ্রে ভোটের ফল ঘোষণার পূর্বে ওই কেন্দ্রে পড়া ভোটের সংখ্যা যাচাই করা। যদি দেখা যায় সেখানে ৯৫, ৯৮ কিংবা ১০০ ভাগ ভোট পড়েছে তাহলে তাৎক্ষণিকভাবে ওই কেন্দ্রের নির্বাচন বাতিল করা উচিত। এভাবে পর্যবেক্ষণ চালিয়ে গেলে অনেক অনিয়মই বন্ধ হয়ে যাবে।

তিনি আরো বলেন, ইভিএমের ওপর মানুষের বিশ্বাস অর্জনের জন্য এখন পর্যন্ত কার্যকরি কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। ইভিএম প্রযুক্তিগত দিক থেকে অনেক বেশি কার্যকরি। কিন্তু বিশ্বের অনেক দেশেই এ নিয়ে নানা বিতর্ক রয়েছে। বাংলাদেশেও ইভিএম ব্যবহার নিয়ে সতর্ক থাকা উচিত। সুশাসন নিশ্চিতে সুজনের প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন আকবর আলি খান। বলেন, ভবিষ্যতে সংগঠনটির উচিত শুধুমাত্র নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিতের দাবিতে অনড় থাকা।