অবৈধ সম্পদ অর্জন:এমপি রতনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুদক

অবৈধ সম্পদ অর্জন:এমপি রতনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুদক

অনিয়মের মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করে শত কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সুনামগঞ্জ-১ আসনের এমপি মোয়াজ্জেম হোসেন রতনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

মঙ্গলবার সাড়ে ১০টা থেকে সংস্থাটির প্রধান কার্যালয়ে পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোনের নেতৃত্বে একটি দল তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। দুদকের জনসংযোগ দপ্তর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

এর আগে গত ১০ই ফেব্রুয়ারি আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানের স্বার্থে এমপি রতনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়।

দুদক পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনের স্বাক্ষরিত করা ওই চিঠিতে বলা হয়, আলোচিত ঠিকাদার গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীমসহ বিভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে অবৈধ প্রক্রিয়ায় পরস্পর যোগসাজশে ঘুষ দেয়া-নেয়ার মাধ্যমে বড় বড় ঠিকাদারি কাজ নিয়ে বিভিন্ন অনিয়মের মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ, ক্যাসিনো ব্যবসা ও অন্যান্য অবৈধ কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে শত শত কোটি টাকা অবৈধ প্রক্রিয়ায় অর্জন পূর্বক বিদেশে পাচার ও জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন সংক্রান্ত অভিযোগ রয়েছে এমপি রতনের বিরুদ্ধে।

গত বছর ১৮ই সেপ্টেম্বর থেকে দেশব্যাপি শুরু হওয়া শুদ্ধি অভিযানের পর থেকেই এমপি রতনের নাম উঠে আসে। দুদক, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এমনকি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একাধিক অভিযোগপত্র জমা পড়ে তার বিরুদ্ধে। গত ১৪ই নভেম্বর একটি দৈনিকে ‘হাওরের শাহানশাহ’ শিরোনামে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ হয়।

এরপরই এমপি রতনের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে দুদক। তারই ধারাবাহিকতায় এবার সংস্থাটি তাকে তলব করেছে।

সূত্র মতে, এমপি রতন ক্ষমতার অপব্যবহার করে ঠিকাদারীর ও সরকারি অর্থ আত্মসাতসহ নানা অবৈধ কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ সম্পদের মালিক হয়েছেন।

রাজধানী ঢাকা, সুনামগঞ্জ, ধর্মপাশা, নেত্রকোনা ও মোহনগঞ্জে ১৩টি বাড়ির মালিক। এর মধ্যে ধর্মপাশায় নিজ গ্রামে ১০ কোটি টাকায় ‘হাওর বাংলা’ নামে বিলাসবহুল বাড়ি নির্মাণ করেছেন। বাড়িটির অধিকাংশ জমি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের এক ব্যক্তির কাছ থেকে দখল করা। সুনামগঞ্জ শহরের মল্লিকপুরে জেলা পুলিশ লাইনসের বিপরীতে ৭ কোটি টাকায় বাড়ি কিনেন রতন। যার নাম দেয়া হয়েছে ‘পায়েল পিউ’।

এমজে/