শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস

শহীদ মিনারে চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা

শহীদ মিনারে চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা

শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠান উদযাপন নির্বিঘ্ন করতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারকে ঘিরে চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

শহীদ মিনারের বেদিকেন্দ্রিক প্রথম স্তর, শহীদ মিনারের বাইরে দ্বিতীয় স্তর, দোয়েল চত্বর-শাহবাগ-নীলক্ষেত-পলাশী-বকশীবাজারকেন্দ্রিক তৃতীয় স্তর ও এর বাইরে আরেক স্তর।

বুধবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা তদারকির পর ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ২০ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৬টা থেকে ২১ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে সব ধরনের যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানাতে আসা সবাইকে আর্চওয়ের ভেতর দিয়ে মূল বেদিতে প্রবেশ করতে হবে। এছাড়া ম্যানুয়ালি ও হ্যান্ডমেটাল ডিটেক্টরের মাধ্যমে তল্লাশি করা হবে।

সিসিটিভিগুলো কন্ট্রোলরুম থেকে সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হবে। কোথাও সমস্যা মনে হলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। ২০ ফেব্রুয়ারি রাতে শহীদ মিনারের পুরো এলাকা ডগ স্কোয়াড দিয়ে সুইপিং করা হবে।

শহীদ মিনারের চারপাশে ডিএমপির ওয়াচ টাওয়ার থাকবে, যেখান থেকে সার্বক্ষণিক পুরো পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হবে। ২০ ফেব্রুয়ারি রাত ৮টার পর বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় বহিরাগত গাড়ি প্রবেশ বন্ধ থাকবে।

মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেন, সাদা পোশাকে ডিবি ও স্পেশাল ব্রাঞ্চের অফিসাররা মোতায়েন থাকবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কেন্দ্রিক পুলিশের পর্যাপ্ত মোবাইল ও প্যাট্রোল টিম থাকবে।

জনসাধারণ যাতে স্বাচ্ছন্দ্যে শহীদ মিনারে প্রবেশ ও বের হতে পারে, সেই ব্যবস্থা আমরা নিয়েছি। তিনি বলেন, পলাশী মোড় হয়ে শহীদ মিনারে আসতে হবে।

শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে রমনা চত্বর ও দোয়েল চত্বর দিয়ে বের হয়ে যেতে হবে। প্রবেশ ও বের হওয়ার পথে উল্টো দিক থেকে না আসতে সবাইকে অনুরোধ করেন তিনি।

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের অনুষ্ঠান উদযাপনে কোনো হুমকি আছে কিনা জানতে চাইলে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ২১ ফেব্রুয়ারি উদযাপনকে ঘিরে কোনো সুনির্দিষ্ট হুমকি নেই। এরপরও আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা সর্বোচ্চ তৎপর রয়েছে।

এমজে/