প্রশ্নফাঁসের প্রমাণ পেয়েছে যাচাই কমিটি

প্রশ্নফাঁসের প্রমাণ পেয়েছে যাচাই কমিটি

ঢাকা, ১৮ ফেব্রুয়ারি (জাস্ট নিউজ) : এসএসসি পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসের প্রমাণ পেয়েছে প্রশ্নফাঁস অভিযোগ তদন্তে গটিত যাচাই কমিটি। একটি বিষয়ে ফাঁস হওয়া প্রশ্নের সাথে হুবহু মিল পাওয়া গেছে পরীক্ষা নেয়া প্রশ্নের সাথে। এ ছাড়া অন্য বিষয়ে ফাঁস হওয়া প্রশ্নের সাথে আংশিক মিল পেয়েছে কমিটি।

যে বিষয়ে হুবহু প্রশ্নফাঁসের মিল পাওয়া গেছে সে বিষয়ে পরীক্ষা বাতিলের সুপারিশ করা হবে।

এ ছাড়া অন্যান্য যে বিষয়ে আংশিক মিল পাওয়া গেছে সে বিষয়ে পুরো পরীক্ষা বাতিলের সুপারিশের পক্ষে নয় কমিটি। আর পরীক্ষা বাতিলের সুপারিশ করা হলেও পরীক্ষা বাতিল করা হবে কি না সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার অধিকার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বলে জানিয়েছেন যাচাই কমিটির প্রধান শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের সচিব মো: আলমগীর হোসেন।

রবিবার সচিবালয়ে দ্বিতীয় দফা বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

প্রশ্নফাঁসের প্রমাণ পাওয়া গেছে কি না সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আছে, আংশিক তো আছেই। কিছু কিছু আংশিক আছে। কিছু কিছু পুরোপুরি আছে।

সচিব বলেন, কিছু কিছু তো সরাসরি হুবহু মিলে গেছে। সেটা কেন আমরা সাজেশন মনে করবো?

কোনো বিষয়ের প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্রের সাথে হুবহু মিলে গেছে জানতে চাইলে সচিব বলেন, একটা পেয়েছি আমরা। এটা তো এখন বলবো না। যখন সুপারিশ করবো তখন বলবো। ২৬ ফেব্রুয়ারি জানতে পারবেন।

তিনি জানান, পরীক্ষা শেষে আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি আরেকটি সভা করে প্রতিবেদন চূড়ান্ত করা হবে। ২৬ ফেব্রুয়ারি প্রতিবেদন জমা দেবেন।

যেসব বিষয়ের আংশিক ফাঁস হয়েছে, সে বিষয়ে তিনি বলেন, যদি দেখা যায় যে কোনো প্রশ্ন হুবহু মিলে গেছে, যদি অবজেকটিক টাইপের প্রশ্ন ফাঁস হয়ে থাকে বাকিটার পরীক্ষা নতুন করে নেব না, শুধু অবজেকটিভের জন্য পরীক্ষা হবে। যদি পরীক্ষা চলার এক-দুই ঘণ্টার আগে বা তিন ঘণ্টা আগে বা আগের দিন যদি ফাঁস হয়ে থাকে।

আর যদি দেখা যায় পরীক্ষা চলাকালীন বা আধা ঘণ্টা আগে, যদি দেখা যায় ৫০০ ছেলেমেয়ে এর সাথে জড়িত, এজন্য তো ২০ লাখ ছেলেমেয়ের পরীক্ষা বাতিল করা ঠিক হবে না।

আলমগীর হোসেন বলেন, বাতিল করবে মন্ত্রণালয়, আমরা সুপারিশ করার মালিক।

সচিব বলেন, হতে পারে। আমরা সুপারিশ করবো। কিন্তু বাতিল করবে কি না, এটা তো অথরিটির বিষয়। তবে এমসিকিউ না গোটা পরীক্ষা- তা বলেননি তিনি।

প্রশ্নফাঁস যাচাই বিষয়ে সচিব আলমগীর হোসেন বলেন, প্রশ্ন কখন আউট হয়েছে বলে গণমাধ্যমে এসেছে এর সাথে মেলাতে হবে, সেগুলো পরীক্ষা করেছি। ২৫ ফেব্রুয়ারি বসে পরীক্ষা করব প্রশ্ন ফাঁসের সাথে কতজন জড়িত ছিল। কতক্ষণ আগে ফাঁস হয়েছে, কত নম্বরের প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে, কতটুকু মিলেছে।

এমসিকিউ ফাঁস হয়েছে বলে রিপোর্ট এসেছে, সেটা মিলিয়ে দেখব। হয়ত হবহু মিলেছে বা আংশিক মিলেছে বা মিলেনি। কিছু কিছু মিল পেয়েছি।

গত ১ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়ার পর টানা দশম দিন পর্যন্ত প্রশ্নফাঁসের ঘটনা ঘটেছে এবার।

(জাস্ট নিউজ/একে/২১০৫ঘ.)