দুদক সরকারি দলের প্রতি ‘সদয়’, বিরোধীদের প্রতি ‘নির্দয়’: টিআইবি

দুদক সরকারি দলের প্রতি ‘সদয়’, বিরোধীদের প্রতি ‘নির্দয়’: টিআইবি

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বিরোধী দলের রাজনীতিকদের হয়রানি এবং ক্ষমতাসীন দল ও জোটের রাজনীতিকদের প্রতি নমনীয়তা প্রদর্শনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে বলে জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।

মঙ্গলবার সকালে টিআইবি অফিসে বাংলাদেশ দুর্নীতি দমন কমিশনের ওপর ফলোআপ গবেষণা উপস্থাপন করে টিআইবি। ওই গবেষণায় এই তথ্য উঠে এসেছে।

সংবাদ সম্মেলনে গবেষণাপত্র তুলে ধরেন টিআইবির রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি বিভাগের প্রোগ্রাম ম্যানেজার শাম্মী লায়লা ইসলাম ও সিনিয়র প্রোগ্রাম ম্যানেজার শাহজাদা এম আকরাম।

গবেষণাপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, দুদকের কার্যক্রম ও ক্ষমতার অব্যবহারের কারণে এর স্বাধীনতা ও নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

গবেষণাপত্রে উল্লিখিত বিশেষজ্ঞদের মতে, দুদক বিরোধী দলের রাজনীতিকদের হয়রানি করা এবং ক্ষমতাসীন দল ও জোটের রাজনীতিকদের প্রতি নমনীয়তা দেখানোর হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে, যার প্রমাণ পাওয়া যায় ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনের সময় দুদকের কার্যক্রমে।

এতে আরও ধারণা করা হয়, দুদক রাজনৈতিকভাবে নিরপেক্ষ নয়। কারণ দুর্নীতির ঘটনা মোকাবেলার ক্ষেত্রে এটি নিরপেক্ষ আচরণ করতে পারেনি।

টিআইবি মনে করে, দুদক পক্ষপাতপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং সবার বিরুদ্ধে সমানতালে পদক্ষেপ গ্রহণ করে না। তথ্যদাতাদের বরাত দিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, তাদের মধ্যে একটি সাধারণ ধারণা হচ্ছে– যাদের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে, তাদের বেশিরভাগই বিরোধী রাজনৈতিক দলের অন্তর্ভুক্ত। তবে কয়েকজন রয়েছেন যারা ক্ষমতাসীন দলের সদস্য।

দুর্নীতির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দুদকের সাড়া প্রদানের হারও কম বলেছে টিআইবি। গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৬-১৮ সালে ৪৭ হাজার ৫৪৯টি অভিযোগের মধ্যে ৩ হাজার ২০৯টি অভিযোগ (৬.৭৫%) অনুসন্ধানের জন্য গৃহীত হয়। অথচ আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসারে এই হার ৬৬ শতাংশের বেশি হওয়ার কথা।

সংবাদ সম্মেলনে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।

এমজে/