দিল্লির সহিংসতায় জাতিসংঘ মহাসচিবের উদ্বেগ

দিল্লির সহিংসতায় জাতিসংঘ মহাসচিবের উদ্বেগ

ভারতে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনকে (সিএএ) কেন্দ্র করে দিল্লিতে চলমান সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস।

বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক জানান, জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস নিবিড়ভাবে দিল্লি পরিস্থিতি নজরে রেখেছেন। বিক্ষোভকারীদেরকে শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ করতে দেয়া এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সংযত থাকা উচিত- এ বিষয়টির ওপরই গুতেরেস জোর দিচ্ছেন। সেইসঙ্গে যত দ্রুত সম্ভব শান্ত পরিবেশ এবং স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনা জরুরি বলেও য়েমত দিছেন গুতেরেস।

এর আগে, আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা বিষয়ক মার্কিন কমিশন (ইউএসসিআইআরএফ) অভিযোগ করেছিল, দিল্লিতে বেছে বেছে মুসলিমদের উপর হামলা চালানো হচ্ছে। অথচ সব দেখেশুনেও নীরব সরকার। নৃশংস এবং লাগামছাড়া হিংসা রুখে সাধারণ মানুষকে নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ তারা। তবে মার্কিন ওই সংগঠনের অভিযোগ খারিজ করে ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য’ থেকে বিরত থাকতে পরামর্শ দিয়েছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারত সফরে থাকার সময়ই এ সহিংসতা ছড়িয়ে পড়লেও তিনি মুখ ফুটে কোনো কথা বলেননি। উল্টো ধর্মীয় স্বাধীনতার ব্যাপারে ভারতের প্রশংসা করে গেছেন। কিন্তু তিনি দেশে ফিরতেই দিল্লির বিরুদ্ধে সরব হলো তার দেশের এ কমিশন।

এদিকে, দিল্লি সফরের সময় সহিংসতা নিয়ে কোনও মন্তব্য না করায় ট্রাম্পকে আক্রমণ করেছেন সে দেশের ডেমোক্রেটিক প্রার্থী বার্নি স্যান্ডার্স। তিনি টুইটার বার্তায় বলেন, '২০ কোটির বেশি মুসলমান ভারতকে নিজেদের বাড়ি বলে জানে। সেখানে মুসলমানবিরোধী বিস্তৃত সহিংসতা এরই মধ্যে বহু লোকের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে; আহত হয়েছে অনেকে। ট্রাম্প এর প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন এটি ভারতের বিষয় বলে; যা মানবাধিকার বিষয়ে (তার) নেতৃত্বের ব্যর্থতা।'

দিল্লিতে মুসলমানদের ওপর চালানো সহিংসতায় বৃহস্পতিবার পর্যন্ত চার দিনে ৩৮ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক।রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে উত্তর-পূর্ব দিল্লির ভজনপুরা, মৌজপুর, কারাওয়ালনগর, মুস্তাফাবাদসহ কয়েকটি এলাকা বিধ্বস্ত জনপদে পরিণত হয়েছে।