এক এমপির হাত ধরে রাজনীতিতে উত্থান, আরেক সাংসদের প্রশ্রয়ে অপরাধজগতে

এক এমপির হাত ধরে রাজনীতিতে উত্থান, আরেক সাংসদের প্রশ্রয়ে অপরাধজগতে

নরসিংদী জেলার সরকারদলীয় এক সাংসদের হাত ধরেই রাজনীতিতে উত্থান ঘটে শামীমা নূর ওরফে পাপিয়ার। এ জেলারই আওয়ামী লীগের আরেক সাংসদের আশ্রয়–প্রশ্রয়ে অপরাধজগৎ বিস্তৃত করেন পাপিয়া।

বৃহস্পতিবার যুব মহিলা লীগের দুই নেত্রী গণমাধ্যমকে বলেন, নরসিংদীর সাবেক এক সাংসদের সুপারিশে পাপিয়া ২০১৪ সালে জেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ পান। ওই সাংসদ গত নির্বাচনে মনোনয়ন পাননি। কয়েক বছর ধরে পাপিয়া নরসিংদীর বর্তমান এক সাংসদের সমর্থন পাচ্ছিলেন। তার প্রভাব খাটিয়ে সংগঠনে নিজের শক্ত অবস্থান গড়ে তোলেন। এ ছাড়া যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির শীর্ষস্থানীয় দুই নেত্রী এবং ঢাকার সংরক্ষিত নারী আসনের এক সাংসদের আস্থাভাজন ছিলেন তিনি।

পাপিয়া নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদকের পদে থাকা অবস্থায় বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার সময় ২২ ফেব্রুয়ারি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আটক হন। ধরা পড়ার পর তাকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়। আটকের পরদিন ইন্দিরা রোডে তার বাসায় অভিযান চালিয়ে ১টি বিদেশি পিস্তল, ২টি ম্যাগাজিন, ২০টি গুলি, ৫ বোতল বিদেশি মদ, ৫৮ লাখ ৪১ হাজার টাকা, ৫টি পাসপোর্ট, ৩টি চেক, বেশ কিছু বিদেশি মুদ্রা ও বিভিন্ন ব্যাংকের ১০টি এটিএম কার্ড উদ্ধার করা হয়।

এদিকে পাপিয়া, তার স্বামীসহ চারজনের বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় অর্থ পাচার ও জাল টাকা রাখার ঘটনায় করা একটি এবং শেরেবাংলা নগর থানায় মাদক ও অস্ত্র আইনে করা দুটি মামলার তদন্তের দায়িত্ব ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগকে দেওয়া হয়েছে। অবৈধ কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা আয়, বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন।