‘যুক্তরাষ্ট্রের পর আরও কয়েকটি দেশ সুরক্ষা সামগ্রী চাচ্ছে’

‘যুক্তরাষ্ট্রের পর আরও কয়েকটি দেশ সুরক্ষা সামগ্রী চাচ্ছে’

আরো কিছু দেশ বাংলাদেশের কাছ থেকে সুরক্ষা সামগ্রী চাচ্ছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।

বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিক্যাল কলেজ অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিএমসিএ) কাছ থেকে পারসোনাল প্রটেক্টিভ ইকুইপমেন্ট (পিপিই) সামগ্রী গ্রহণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের পর আরো কয়েকটি দেশ আমাদের কাছে সুরক্ষা সামগ্রী চাচ্ছে।’

‘আগামীকাল বৃহস্পতিবার চীন থেকে ১০ হাজার পার্সোনাল প্রোটেকশন ইকুইপমেন্ট (পিপিই), ১০ হাজার টেস্টিং কিট, এক হাজার ইনফ্রারেড থার্মোমিটার আসবে। আরও দুই দিন পর ২৯ মার্চ সেদেশ থেকে ৩০ হাজার এন-৯৫ মাস্ক আসবে। আজ বুধবার সকালে ভারত সরকার আমাদেরকে এন-৯৫ মাস্ক দিয়েছে। এ ছাড়া, আরও অনেক দেশ আমাদের জন্য এ বিষয়ে উৎসাহ দেখিয়েছে’, বলেন আব্দুল মোমেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আজকে বেসরকারি খাত যেভাবে এগিয়ে এসেছে, সেটা আমাদের বড় সক্ষমতা বলা যায়। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ যেমন শ্রীলঙ্কা, ইরান, যুক্তরাষ্ট্র, ভুটান, নেপাল, সবাই আমাদের কাছে রিকোয়েস্ট করেছে ইকুইপমেন্টের জন্য। কারণ, তাদের দেশে এসব জিনিসের অভাব আছে। এই ক্রাইসিসের সময় আমরা সাপ্লাই করতে পারবো কিনা, সেটা তারা জানতে চেয়েছে।’

আব্দুল মোমেন বলেন, ‘আমাদের এখানে বিভিন্ন ব্যবসায়ী বলেছেন যে, আমরা এগুলো সাপ্লাই করতে পারব। ইতিমধ্যে প্রতিদিন প্রায় ৬ লাখের মতো মাস্ক তৈরি হচ্ছে। আগে ১২ হাজার পিপিই তৈরি হতো, আগামী কয়েক দিনের মধ্যে প্রতিদিন ৫ লাখ পিপিই তৈরি হবে। এই যে সক্ষমতা বাড়ানো, আর স্বতঃস্ফূর্তভাবে এগিয়ে আসার মনোভাব— এটি একটি নতুনত্ব। এজন্যই যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশ আমাদের কাছে সুরক্ষা সামগ্রী চাচ্ছে এবং আমরা তাদের দেবো।’

‘আমি খুব আনন্দিত। কারণ, আমরা বিজয়ের জাতি। আমরা ঝড়-ঝাপ্টা সাইক্লোন অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে ম্যানেজ করেছি’, যোগ করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান।