করোনা সংকট: সারা বিশ্বেই সরকারের ওপর আস্থা হারাচ্ছে মানুষ

করোনা সংকট: সারা বিশ্বেই সরকারের ওপর আস্থা হারাচ্ছে মানুষ

করোনাভাইরাস মোকাবেলার ব্যাপারে সারা বিশ্বেই সরকারগুলোর ওপর আস্থা হারাচ্ছে সিংহভাগ মানুষ। সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপরও বিশ্বাস হারিয়েছে তারা। দেশে দেশে সরকার ও প্রশাসনগুলো মহামারী পরিস্থিতি মোকাবেলায় সক্ষম নয় বলে বিশ্বাস তাদের।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংস্থা ম্যাকক্যান ওয়ার্ল্ড গ্রুপ’স ট্র–থ সেন্ট্রালে’র এক গবেষণা রিপোর্টে এ তথ্য উঠে এসেছে। সংস্থাটির তথ্য মতে, সারা বিশ্বের মাত্র ১৪ শতাংশ মানুষ বিশ্বাস করে, করোনা মোকাবেলায় তাদের সরকারগুলো ‘সবচেয়ে ভালো প্রস্তুতি’ নিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রে মাত্র ১১ শতাংশ মানুষ মনে করে, করোনা মোকাবেলায় সবচেয়ে ভালো প্রস্তুতি নিয়েছে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সরকার। অর্থাৎ ৮৯ ভাগ মার্কিনীরই বিশ্বাস, তাদের সরকার করোনা মোকাবেলায় সক্ষম নয়। এই সংখ্যাটা যুক্তরাজ্যে আরও কম। মাত্র ৬ শতাংশ ব্রিটিশ মনে করে, তাদের সরকার করোনা মোকাবেলায় ভালো প্রস্তুতি নিয়েছে।

রিপোর্টে আরও বলা হয়, মাত্র ১১ শতাংশ মানুষ মনে করে, করোনা মোকাবেলায় তাদের সরকারগুলো প্রস্তুত। এই দেশ দুটির তুলনায় ভারত ও তুরস্কের বেশি মানুষ তাদের নিজ দেশের সরকারকে বিশ্বাস করে।

এই দুই দেশের মাত্র ৩১ শতাংশ মানুষ বলছে, করোনা মোকাবেলায় তাদের সরকার প্রস্তুত। রিপোর্ট মতে, সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে জনগণ বিশ্বাস কম করেন। এছাড়াও করোনার এই সময়ে মানুষের বাঁচার থেকে বেশি চিন্তা অর্থনীতি নিয়ে।

বিশ্বের প্রায় ৪৮ শতাংশ মানুষ অর্থনীতি নিয়ে চিন্তিত। তারা মনে করেন, করোনার কারণে বিশ্ব অর্থনীতি ধুঁকবে। আর ৪৩ শতাংশ মানুষ চিন্তা করেন মৃত্যু নিয়ে।

তারা ভাবেন করোনায় বিশ্বের অনেক মানুষ মারা যাবেন। ১৪ শতাংশ মানুষ উদ্বিগ্ন। কারণ কারোনার কারণে তাদের দেশ আরও বর্ণবাদী হয়ে উঠবে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও জাপানের মতো উন্নত দেশগুলোর মানুষ চিলির মতো দেশগুলোর চেয়ে তাদের অর্থনীতি নিয়ে বেশি উদ্বিগ্ন।

এছাড়া করোনা পরিস্থিতিতে গণমাধ্যমের ভূমিকাকেও ভালো চোখে দেখছেন না অধিকাংশ জনগণ। সারা বিশ্বের ৪২ শতাংশ মানুষ মনে করে, গণমাধ্যম অপ্রয়োজনীয় আতঙ্ক সৃষ্টি করছে।

এই বিষয়টির সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন স্পেন ও ইতালির ২৯ শতাংশ মানুষ। করোনার মহামারীর ইউরোপের কেন্দ্র হয়ে উঠছে স্পেন ও ইতালি। করোনায় এই দুটি দেশেই চীনের থেকেও বেশি মানুষ মারা গেছেন।

এমজে/