অভাবে-অনাহারে সেন্ট মার্টিন দ্বীপের মানুষ

অভাবে-অনাহারে সেন্ট মার্টিন দ্বীপের মানুষ

করোনা ভাইরাসের প্রভাবে দুর্বিষহ সময় পার করছেন সেন্টমার্টিন দ্বীপের ১০ হাজারের বেশি মানুষ। পর্যটক নেই তাই আয়-রোজগারের পথ বন্ধ। দ্বীপের বাসিন্দরা বলছেন, যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন সেন্টমার্টিন দ্বীপে এই দুর্যোগে সহায়তা না আসায় ভয়াবহ কষ্টে রয়েছেন তারা। এ অবস্থায় নৌবাহিনী জানিয়েছে, এখন থেকে দ্বীপের অসহায় মানুষদের নিয়মিত খাদ্য সহায়তা দেয়া হবে ।

প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন, এ সময় পর্যটকে ঠাসা থাকতো। কিন্তু চারিদিকে এখন সুনশান নীরবতা। নেই কোন পর্যটক। ঘাটে নোঙর করা আছে যাত্রীবাহী ও মাছ ধরার ট্রলারগুলো। বন্ধ রয়েছে হোটেল, রেস্তোরা ও বার্মিজ দোকানগুলো।

দ্বীপের বাসিন্দা, যাদের জীবিকা পর্যটক নির্ভর তাদের চোখে শুধুই হতাশার ছাপ। তারা বলছেন, করোনার প্রভাবে কাজ নেই তাই খেয়ে না খেয়ে চলছে তাদের সংসার।

করোনার কারণে আগামী পর্যটন মৌসুম না আসা পর্যন্ত দ্বীপের মানুষকে অনেকটা কষ্টেই দিন কাটাতে হবে। তাই সরকারিভাবে দ্বীপের অসহায় মানুষদের খাদ্য সহায়তা প্রয়োজন বলে জানালেন জনপ্রতিনিধি।

সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন চেয়ারম্যান, পরিষদ মো. নুর আহমদ বলেন, জনগণ সম্পূর্ণ বেকার হয়ে গেছে। গরীব মানুষ যেন খাদ্য সহায়তা পায় এই অনুরোধ করব।

 

নৌ-বাহিনীর এই কর্মকর্তা জানালেন, এখন থেকে দ্বীপের অসহায় মানুষদের নিয়মিত খাদ্য সহায়তা দেয়া হবে।

ক্যাপ্টেন তানজিম ফারুক বলেন, আমরা শুরু করেছি, কোস্টগার্ড ও অতিদ্রুত শুরু করবে আমরা আশা করছি।

সেন্টমার্টিন দ্বীপে ১শ ৬টি হোটেল, মোটেল ও কটেজ রয়েছে। আর রেস্তোরা রয়েছে ৫০টি।

এমজে/