একটা সুসংবাদ আসছে...

একটা সুসংবাদ আসছে...

গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে ফোন করেছিলাম একটা কাজে। তিনি দিলেন বিরাট এক সুসংবাদ। জাতিকে তিনি করোনা শনাক্তকরণ কীট উপহার দিতে যাচ্ছেন ১১ই এপ্রিল। এজন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সামান্য সহযোগিতা লাগবে। তা পেলে তিনি আশাবাদী ১১ই এপ্রিল থেকে দেশে উৎপাদিত কীটে স্বল্পমূল্যে শনাক্ত করা যাবে করোনাভাইরাস।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ বিভিন্ন গাইডলাইনে করোনা প্রতিরোধে সবচেয়ে কার্যকর উপায় হিসেবে করোনাবাহী মানুষকে চিহ্নিত করে আলাদা রাখার কথা বলা হয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়া আর তাইওয়ানের মতো দেশ এটি করেই করোনার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পেরেছে।

করোনাবাহী মানুষকে আলাদা রাখতে হলে প্রথমে তার দেহে করোনাভাইরাস আছে কিনা শনাক্ত করতে হয়। এর কোন বিকল্প নেই। অথচ বাংলাদেশে শুরু থেকে রয়েছে শনাক্তকরণ কীটের মারাত্মক স্বল্পতা।

পৃথিবীর উন্নত অনেক দেশেও কম মাত্রায় হলেও এ সংকট রয়েছে। ফলে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের পক্ষ থেকে করোনা শনাক্তকরণ কীট বের করার ফমুর্লার সংবাদটি মাসখানেক আগে প্রকাশ করা মাত্র তা দেশে বিদেশে আলোড়ন তোলে। ডা. জাফরুল্লাহ ও কীটের ফমুর্লা আবিষ্কারকারী দলের প্রধান ডা. বিজন কুমার শীলকে নিয়ে সংবাদ ছাপা হতে থাকে প্রায় প্রতিদিন।

ডা. জাফরুল্লাহ আমার সাথে আলাপে ফর্মুলাটি বাস্তবায়ন করে কীট উৎপাদনের কাজে সরকারের বিভিন্ন অকুণ্ঠ সহযোগিতার কথা বললেন। তিনি বিশেষভাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী, এনবিআর-এর চেয়ারম্যান এবং চীনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের সহযোগিতার কথা জানালেন। তিনি মনে করেন এখন শুধু সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একটু সহযোগিতা দরকার। সহযোগিতা দরকার বাংলাদেশি মানুষের রক্তে এই কীট দিয়ে করোনা শনাক্তকরনের কার্যকারিতা পরীক্ষার জন্য অনুমতির। সেটি দ্রুততার সাথে পেলে ১১ই এপ্রিলে তিনি দিবেন সুসংবাদটি।

আমরা এ সুসংবাদের অপেক্ষায় থাকলাম।

আসিফ নজরুল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক।