মাগুরায় একই পরিবারের ৩ জন আইসোলেশনে, বাড়ি লকডাউন

মাগুরায় একই পরিবারের ৩ জন আইসোলেশনে, বাড়ি লকডাউন

করোনা ভাইরাসের উপসর্গ থাকায় মাগুরা শহরের পুরাতন বাজার এলাকায় ৩৫ বছর বয়সী এক ব্যাংকারসহ তার পরিবারের তিন সদস্যকে আইসোলেশনে নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ওই বাড়িটি লকডাউন ও মহল্লার অন্য বাসা, বাড়িগুলোর সদস্যদের বাধ্যতামূলক হোম কোয়ারেন্টাইন ব্যধতামূলক করে সোমবার রাতেই প্রশাসনের পক্ষ থেকে লাল নিশানা টাঙিয়ে পুলিশ পাহারা বসানো হয়েছে।

সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আব্দুস সালামঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, নোয়াখালীর চৌমুহীতে কর্মরত ওই ব্যাংকার গত ২৬ তারিখে জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মাগুরা শহরের পুরাতন বাজারের ওই ভাড়া বাসায় ওঠেন। পরদিন স্থানীয় হাসপাতাল থেকে ডাক্তার দেখিয়ে এ ক’দিন তিনি তার পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্ড়ে ওই বাসাতেই ছিলেন। সোমবার তার শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধির সাথে-সাথে তিনি বমি করতে থাকেন। পাশাপাশি একই বাসায় বসবাসরত তার পরিবারের অন্য দুই সদস্য জ্বরে আক্রান্ত হন। এ খবর পেয়ে স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সুফিয়ান ও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গিয়ে তাকে পর্যবেক্ষণ করেন। এ সময় তার শরীরে করোনা ভাইরাসের উপসর্গ আছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয়। পরে ওই ব্যাংকারসহ জ্বরে আক্রান্ত তার পরিবারের অন্য দুই সদস্যকে মাগুরা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে স্থাপিত আইসোলেশন ওয়ার্ডে নেওয়া হয়েছে। এ সময় প্রশানের পক্ষ থেকে ওই বাড়ি লকডাউন ও মহল্লার অন্য বাসা বাড়ির সদস্যদের বাধ্যতামূলক হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।

মাগুরার সিভিল সার্জন ডা. প্রদীপ কুমার সাহা জানান, করোনার উপসর্গ থাকায় ওই ব্যাংকারসহ তার পরিবারের তিন সদস্যকে অইসোলেশনে রাখা হয়েছে।

সদর থানার ওসি জয়নাল আবেদীন জানান, আইসোলেশনে থাকা ব্যাংকারের বাড়িটি লকডাউন ও মহল্লার অন্য বাসা বাড়িগুলোর সদস্যদের বাধ্যতামূলক হোম কোয়ারেন্টাইন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এ জন্য ওই এলাকায় ঢোকার প্রবেশ মুখে লাল নিশানা টাঙিয়ে পুলিশ পাহারা বসানো হয়েছে।

এমজে/