অভিযোগ এখনো প্রতিষ্ঠিত হয়নি : বাচ্চু

অভিযোগ এখনো প্রতিষ্ঠিত হয়নি : বাচ্চু

ঢাকা, ০৪ ডিসেম্বর (জাস্ট নিউজ) : প্রায় সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকার ঋণ কেলেঙ্কারির দায় অস্বীকার করেছেন বেসিক ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান শেখ আবদুল হাই বাচ্চু। সোমবার দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কার্যালয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘অভিযোগ এখনো প্রতিষ্ঠিত হয়নি।’

বেসিক ব্যাংকের কিছু টাকা উদ্ধার হয়েছে জানিয়ে দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছেন, ‘টাকা ফেরত পাওয়ার কারণে অপরাধীর অপরাধ কমে যাবে না।’

২০০৯ সাল থেকে ২০১২ সালের মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত বেসিক ব্যাংকের রাজধানীর তিনটি শাখা থেকে মোট সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা ঋণ অনিয়মের মাধ্যমে বিতরণের অভিযোগ ওঠার পর তদন্তে নামে দুদক। প্রায় চার বছর অনুসন্ধান শেষে এই অনিয়ম ও দুর্নীতির ঘটনায় গত বছর রাজধানীর তিনটি থানায় ১৫৬ জনকে আসামি করে ৫৬টি মামলা করে দুদক। তবে আসামির তালিকায় বেসিক ব্যাংকের সে সময়ের চেয়ারম্যান শেখ আবদুল হাই বাচ্চু এবং পরিচালনা পর্ষদের কারো নাম না থাকায় গত বছর ফেব্রুয়ারিতে সংসদে বাচ্চুর সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ তোলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। আর এ বছরের আগস্টে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগও বাচ্চুকে আসামি না করায় উষ্মা প্রকাশ করে।

ঋণ কেলেঙ্কারির ঘটনায় গত ২২ নভেম্বর থেকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হওয়ার পর প্রথমবারের মতো দুদক কার্যালয়ে ডাকা হয় বাচ্চুকে।

আজ দুদক কার্যালয় থেকে বের হয়ে আবদুল হাই বাচ্চু বলেন, ‘যে অভিযোগগুলো দুদকে তদন্ত অবস্থায়, আমাকে জিজ্ঞাসা করেছে। সেগুলোর উত্তর দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনবোধে আমি দুদককে আরো সহযোগিতা করব।’ তিনি আরো বলেন, ‘অভিযোগটা এখনো তদন্ত চলছে। অভিযোগ এখনো এসটাবলিশ হয়নি।’

দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছেন, ‘তদন্তকারী কর্মকর্তারা স্বাধীনভাবে কাজ করছেন।’ তিনি আরো বলেন, ‘দুই হাজার ৩০০ কোটি টাকা রিশিডিউলিং হয়েছে। ৫৫৩ কোটি টাকা ক্যাশ জমা হয়েছে।’ তিনি আরো বলেন, ‘তদন্ত দেরি হয়েছে এটা সঠিক। টাইম লাইন মেইনটেইন হয়নি এটা সঠিক। কিন্তু প্রতিটি জিনিসের একটি যুক্তি থাকে।’

জাতীয় পার্টির সাবেক সংসদ সদস্য শেখ আবদুল হাই বাচ্চুকে ২০০৯ সালে বেসিক ব্যাংকের চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ দেয় সরকার। ২০১২ সালে তার নিয়োগ নবায়নও হয়। কিন্তু ঋণ কেলেঙ্কারির অভিযোগ উঠলে ২০১৪ সালে পদত্যাগ করেন বাচ্চু।

(জাস্ট নিউজ/জেআর/২১৪০ঘ.)