দেশে চিকিৎসক, নার্সসহ ১৫১৫ স্বাস্থ্যকর্মী করোনায় আক্রান্ত

দেশে চিকিৎসক, নার্সসহ ১৫১৫ স্বাস্থ্যকর্মী করোনায় আক্রান্ত

দেশে চিকিৎসক ও নার্সসহ এক হাজার ৫১৫ স্বাস্থ্যকর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে চিকিৎসক ৫৮৭ জন, নার্স ৩৯০ জন এবং অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মী ৫৩৮ জন।

মঙ্গলবার বিকালে বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) এসব তথ্য জানিয়েছে।

সংগঠনটির দফতর সম্পাদক অধ্যাপক ডা. শহিদ উল্লাহ বলেন, সব মিলে মোট ১৫১৫ জন স্বাস্থ্যকর্মী আক্রান্ত হয়েছেন।

এ পর্যন্ত দেশে ১৬ হাজার ৬৬০ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে মারা গেছেন ২৫০ জন।

এদিকে দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২৫০ জনে।

এই সময়ের মধ্যে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৯৬৯ জন। এ নিয়ে সর্বমোট আক্রান্ত ১৬ হাজার ৬৬০ জন। এছাড়া নতুন করে ২৪৫ জনসহ মোট ৩ হাজার ১৪৭ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।

মঙ্গলবার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়মিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য তুলে ধরেন অধিদফতরটির অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।

তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ৬ হাজার ৭৭৩টি নমুনা পরীক্ষা করে ৯৬৯ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। মারা গেছেন ১১ জন। এর মধ্যে ৭ জন পুরুষ ও ৪ জন নারী।

ডা. নাসিমা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া রোগীদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের ৫ জন, চট্টগ্রামের ২ জন, নারায়ণগঞ্জের ১ জন, নরসিংদীতে ১ জন ও সিলেটের ১ জন।

তিনি আরও জানান, নিহতদের বয়স বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৩ জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ৫ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে ২ জন, ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে ১ জন।

এছাড়া নতুন করে ২৪৫ জনসহ মোট ৩ হাজার ১৪৭ জন সুস্থ হয়েছেন বলে জানান ডা. নাসিমা।

প্রসঙ্গত গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর চীনের উহান শহরে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। দেশে প্রথম কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হন ৮ মার্চ এবং এ রোগে আক্রান্ত প্রথম রোগীর মৃত্যু হয় ১৮ মার্চ।

২৫ মার্চ প্রথমবারের মতো রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) জানায়, বাংলাদেশে সীমিত পরিসরে কমিউনিটি ট্রান্সমিশন বা সামাজিকভাবে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ হচ্ছে।