ঘূর্ণিঝড় ‘আম্পান’ মোকাবিলায় প্রস্তুত সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনী

ঘূর্ণিঝড় ‘আম্পান’ মোকাবিলায় প্রস্তুত সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনী

ঘূর্ণিঝড় আম্পান মোকাবিলায় সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের নেতৃত্বে সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনী সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে । প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মনিটরিং সেল, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতর ও অন্যান্য মন্ত্রণালয় ও সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ। তাৎক্ষণিক যে কোনও প্রয়োজনে সর্বদা প্রস্তুত রয়েছে সশস্ত্র বাহিনী।

আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) জানায়, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বেসামরিক প্রশাসনের সঙ্গে দুর্যোগ পূর্ববর্তী ও দুর্যোগ পরবর্তী কার্যক্রম সমন্বয় করছে। নিজস্ব উৎস থেকে ১৮ হাজার ৪০০টি ত্রাণের প্যাকেট তৈরি করেছে এবং ৭১টি ছোট মেডিকেল টিম প্রস্তুত রয়েছে । ১৪৫টি ছোট দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা টিম বিশেষ সরঞ্জামাদিসহ সংক্ষিপ্ত নোটিশে মোতায়েনের জন্য প্রস্তুত রয়েছে।

ভূমিধস বিষয়ে অভিজ্ঞতা সম্পন্ন বিশেষ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা টিম বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিকদের রক্ষায় কক্সবাজার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মোতায়েনের জন্য প্রস্তুত রয়েছে । এছাড়া বিভিন্ন ইঞ্জিনিয়ারিং উপকরণ প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ৩১৩ টি স্পিডবোট, ১৫টি পানি বিশুদ্ধিকরণ প্ল্যান্ট, ২৩৯ আউট বোর্ড মোটর , চারটি জাপানি উদ্ধার বোর্ড, ৬টি ফাইবার গ্লাস বোর্ড, ১১৫টি শার্ক বোর্ড এবং ২টি ল্যান্ডিং ক্র্যাফট ইউটিলিটি ও ভেহিক্যাল প্রস্তুত রয়েছে। আর্মি অ্যাভিয়েশন উদ্ধার ও ত্রাণ বিতরণের জন্য প্রস্তুত রয়েছেন।

ঘূর্ণিঝড় ‘আম্পান’ পরবর্তী জরুরি উদ্ধার, ত্রাণ ও চিকিৎসা সহায়তাসহ যেকোনও পরিস্থিতি মোকাবিলায় তিনস্তরের প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী। ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম, খুলনা ও মংলা নৌ-অঞ্চলে নৌবাহিনীর ২৫টি জাহাজ সমুদ্র ও উপকূলীয় এলাকায় দ্রুততম সময়ে জরুরি উদ্ধার, ত্রাণ এবং চিকিৎসা সহায়তা প্রদানের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

পাশাপাশি, ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী সমুদ্র ও উপকূলীয় এলাকায় অনুসন্ধান কাজের জন্য নৌবাহিনীর দুটি মেরিটাইম পেট্রোল এয়ার ক্রাফট এবং দুটি হেলিকপ্টার প্রস্তুত। একইসঙ্গে খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুরসহ উপকূলীয় দুর্গত এলাকাগুলোতে মোতায়েনের জন্য নৌ কন্টিনজেন্ট প্রস্তুত রাখা হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছে নৌবাহিনী।

বিমানবাহিনীর সকল এয়ারক্রাফট ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ চিকিৎসা ও উদ্ধার অভিযানের জন্য প্রস্তুত রয়েছে । বিমানবাহিনীর এয়ারক্রাফটগুলোর মধ্যে রয়েছে ৬টি পরিবহন বিমান ও ২২টি হেলিকপ্টার।