বায়তুল মোকাররমে ঈদুল ফিতরের ৫ জামাত অনুষ্ঠিত

বায়তুল মোকাররমে ঈদুল ফিতরের ৫ জামাত অনুষ্ঠিত

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পবিত্র ঈদুল ফিতরের পাঁচটি জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। নিরাপদ শারিরীক দূরত্ব এবং করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত অন্যান্য নির্দেশনা এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনেই এ পাঁচ জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

সোমবার সকাল ৭টায় এবারের ঈদের প্রধান এবং জাতীয় মসজিদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম জামাতে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররমের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মাওলানা মিজানুর রহমান। মুকাব্বির হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন মসজিদের মোয়াজ্জিন হাফেজ কারী কাজী মাসুদুর রহমান।

বায়তুল মোকাররমে দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল ৮টায়। এতে ইমামতি করেন মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মুফতি মুহিবুল্লাহিল বাকী নদভী। সকাল ৯টায় তৃতীয় জামাতে ইমাম ছিলেন জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা এহসানুল হক।

সকাল ১০টায় চতুর্থ জামাতে ইমামতি করেন জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা মহিউদ্দিন কাসেম। এরপর ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মুহাদ্দিস হাফেজ মাওলানা ওয়ালিয়ুর রহমান খানের ইমামতিতে পঞ্চম ও সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে।

প্রতিটি জামাত শেষে খুতবা পেশ করা হয়। এরপর অনুষ্ঠিত হয় দোয়া ও মোনাজাত। দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনা করা হয়। পাশাপাশি সম্প্রতি বৈশ্বিক করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ও নিহতদের জন্য দোয়া করা হয়েছে। এছাড়া মোনাজাতে সব উম্মতে মোহাম্মদীর গুনাহ মাফ চাওয়া হয়েছে। সব মৃত ব্যক্তির কবরের আজাব মাফ চাওয়া হয়েছে। যেকোনো বিপদ থেকে দেশকে হেফাজতের জন্যও প্রার্থনা করা হয়েছে।

স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঈদ জামাত, জামাত শেষে কোলাকুলি ও হাত মেলাতে মানা থাকায় সেগুলো মেনেই ঈদের নামাজ আদায় করেছেন মুসল্লিরা। নামাজ শেষে কাউকেই দেখা যায়নি হাত মেলাতে বা কোলাকুলি করতে। ফলে অনেকেই একটু কষ্ট মনে নিয়েই ফিরেছেন ঘরে। তারা জানিয়েছেন, ঈদের নামাজের পর প্রধান আনন্দ কোলাকুলিতেই। কিন্তু নিজেদের নিরাপত্তার স্বার্থেই এবার তারা বিরত থাকছেন সেসব থেকে।

সকালে জাতীয় মসজিদে প্রধান ঈদ জামাতে নামাজ আদায় করার জন্য বিভিন্ন স্থান থেকে মুসল্লিরা আসেন। আবহাওয়া ভালো থাকায় আসতে তাদের কোনো সমস্যা হয়নি বলেই জানিয়েছেন তারা। এরপর থেকে শুধু কথাতেই সৌহার্দ্য।

এমজে/