ঈদের নামাজের পর টাকা তোলা নিয়ে সংঘর্ষে আহত ১০, শতাধিক বাড়ি ভাংচুর

ঈদের নামাজের পর টাকা তোলা নিয়ে সংঘর্ষে আহত ১০, শতাধিক বাড়ি ভাংচুর

ঈদের নামাজ শেষে টাকা তোলাকে কেন্দ্র করে বিরোধের জেরে মাগুরার শ্রীপুরে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে ৪ জনকে মাগুরা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ সময়ে হামলা পাল্টা হামলায় উভয় পক্ষের শতাধিক বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ৫০ রাউন্ড শটগানের ফাঁকাগুলি ছোড়ে পুলিশ।

 সোমবার উপজেলার শ্রীকোল ইউনিয়নের খোর্দ্দরহুয়া ও সরইনগর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে শ্রীকোল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আমীর হোসেন মোল্ল্যার সাথে স্থানীয় আবু বক্কার মোল্ল্যা এবং হাফিজুর রহমানের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিলো। এরই জের ধরে সোমবার স্থানীয় ঈদগাহে নামাজ শেষে টাকা তোলাকে কেন্দ্র করে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে।

আমীর হোসেন মোল্ল্যা বলেন, খোর্দ্দরহুয়া গ্রামের ঈদগাহে ঈদের নামাজ শেষে টাকা তোলা ও নাম ঘোষণার সময় হঠাৎ আবু বক্কার ও তার লোকজন নুরুল হোসেন, ওসমান, আবু, হারেজসহ আমার বেশ কয়েকজন লোককে পিটিয়ে আহত ও কুপিয়ে জখম করে।

 

শ্রীকালে ইউনিয়ন পরিষদের ওয়ার্ড সদস্য ফরিদুল ইসলাম বলেন, প্রথমে ঝামেলা হয় খোর্দ্দরহুয়া গ্রামে। কিছুক্ষণ পরই এক দেড় কিলোমিটার দূরের সরইনগর গ্রামের ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আমীর হোসেন মোল্ল্যার সমর্থক নেকবর মোল্ল্যা, সরইনগর গ্রামে এসে এই ভাঙচুরের নেতৃত্ব দিয়েছেন।

শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মাহাবুবুর রহমান বলেন, চার-পাঁচটি গ্রাম থেকে একযোগে প্রচুর লোক এসে সরইনগন গ্রামে হামলা করে ভাঙচুর করেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ অর্ধশত শর্টগানের গুলি ছোড়ে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় কোন মামলা হয়নি। ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে ইতোমধ্যে ৭ জনকে আটক করা হয়েছে।

এমজে/