নিষেধাজ্ঞার মধ্যেই ফ্লাইট ভাড়া করে দেশ ছাড়লেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এম মোরশেদ খান

নিষেধাজ্ঞার মধ্যেই ফ্লাইট ভাড়া করে দেশ ছাড়লেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এম মোরশেদ খান

৩০ মে পর্যন্ত স্বাভাবিক বিমান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি থাকার মধ্যেই ২৮ মে ভাড়া করা একটি ফ্লাইটে স্ত্রীকে নিয়ে ঢাকা ছেড়েছেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এম মোরশেদ খান। বৃহস্পতিবার বিকাল তিনটায় বিমানবন্দরে উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হন তারা। শুধু এই দুই যাত্রীকে নিয়ে উড়োজাহাজেটি লন্ডনের উদ্দেশ্যে মধ্যরাতে ঢাকা ছেড়ে যায়।

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে, একটি চার্টার (ভাড়া করা) ফ্লাইটে ঢাকা ছেড়েছেন মোরশেদ খান। তার সঙ্গে স্ত্রী নাসরিন খানও ছিলেন। ভাড়া করা ওই ফ্লাইটে যাত্রী হিসেবে শুধু তারা দুজনই ছিলেন। ফ্লাইটটি বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে যুক্তরাজ্যের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়ে।

দুজন যাত্রী নিয়ে একটি চার্টার উড়োজাহাজ যুক্তরাজ্যের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছেন শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন এএইচএম তৌহিদ উল-আহসান।

বিএনপি থেকে পদত্যাগকারী মোরশেদ খানের ব্যক্তিগত সহকারী সমীর গণমাধ্যমকে বলেন, ‘স্যারের বার্ধক্যজনিত অসুস্থতা আছে। এজন্য চেকআপ করাতে লন্ডনে গেছেন। এর বাইরে আমি কিছু জানি না।’

উল্লেখ্য, নভেল করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে ২১ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত যুক্তরাজ্য, চীন, হংকং, থাইল্যান্ড ছাড়া সব দেশের সঙ্গে যাত্রীবাহী সব উড়োজাহাজ সংস্থার ফ্লাইট চলাচল বন্ধের ঘোষণা দিয়েছিল বেবিচক। এরপর আরেকটি আদেশে এই সময়সীমা আরও সাত দিন বাড়িয়ে চীন বাদে সব দেশের সঙ্গে ৭ এপ্রিল পর্যন্ত ফ্লাইট চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। এই নিষেধাজ্ঞা কয়েক দফায় ১৪ এপ্রিল, ৩০ এপ্রিল, ৭ মে, ১৬ মে এবং ৩০ মে পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়।

প্রসঙ্গত, গত বছরের ১০ জুন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী এম মোরশেদ খানের বিদেশ ভ্রমণের বিষয়ে ইমিগ্রেশনে চিঠি দিয়েছিল দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ওইদিন দুদকের উপ-পরিচালক মো. সামছুল আলম স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, এম মোরশেদ খান সপরিবারে বিদেশ যাওয়ার চেষ্টা করছেন। তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তার বিদেশ যাওয়া ঠেকানো দরকার।