রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে ত্রিপক্ষীয় সমঝোতা স্মারক সই

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে ত্রিপক্ষীয় সমঝোতা স্মারক সই

মস্কো, ২ মার্চ (জাস্ট নিউজ) : পাবনায় রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য বাংলাদেশ, ভারত ও রাশিয়ার মধ্যে একটি ত্রিপক্ষীয় সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হয়েছে। এই চুক্তির মাধ্যমে ভারত প্রথমবারের মতো রূপপুর প্রকল্প নির্মাণের সাথে যুক্ত হলো।

বৃহস্পতিবার রাশিয়ার মস্কোয় এ চুক্তি সই হয়। রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পারমাণবিক শক্তি সংস্থা বা রসাটম এক বিবৃতিতে জানায়, ভারতের পরামাণবিক শক্তি বিভাগ এবং বাংলাদেশের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের মধ্যে এই ত্রিপক্ষীয় সমঝোতা স্মারকটি স্বাক্ষরিত হয়। এ সময় রসাটমের পক্ষে নিকোলাই স্পাসকি, রাশিয়ায় নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রদূত পঙ্কজ শরণ এবং বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এস এম সাইফুল হক উপস্থিত ছিলেন।

নতুন এই সমঝোতা স্মারকে উল্লেখ করা হয়, বিদ্যুৎকেন্দ্র নিরাপদভাবে পরিচালনা এবং নিরাপত্তার ক্ষেত্রসহ কর্মীদের দক্ষতা উন্নয়ন ও সক্ষমতা বৃদ্ধিতে ত্রিপক্ষীয় জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা বিনিময়, পরামর্শক সেবা, কারিগরি সহায়তা, সম্পদ ও অভিজ্ঞতা বিনিময় করা হবে।

বিবৃতিতে বলা হয়, ভারতীয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্মাণ ও স্থাপন কাজের সঙ্গে যুক্ত হবে। এ ছাড়া প্রকল্পের নন-ক্রিটিক্যাল (কম গুরুত্বপূর্ণ) উপকরণ ও যন্ত্রপাতি সরবরাহ করতে পারে ভারত।

এ ছাড়া জনবল প্রশিক্ষণ, জ্ঞান বিনিময় ও পরামর্শক লেনদেন করবে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয় এবং ভারতের পারমাণবিক জ্বালানি বিভাগ।

সমঝোতার স্মারক সই হওয়ার ফলে বাংলাদেশ ও ভারতের বিশেষজ্ঞ এবং রাশিয়ার ঠিকাদারদের মধ্যে পারস্পরিক অভিজ্ঞতা বিনিময়ের একটি কাঠামো তৈরি হলো।

রূপপুর প্রকল্প পরিবেশকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে কি না- এ বিষয়ে এএসই কর্মকর্তা খাজিন বলেন, আন্তর্জাতিক জ্বালানি সংস্থার ভাষ্যমতে, পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পগুলো বর্তমানে বিশ্বে ৩৮ শতাংশ সবুজ বিদ্যুৎ (গ্রিন পাওয়ার) উৎপাদন করছে। তাই মানবজাতিকে রক্ষায় পারমাণবিক প্রকল্প গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

আন্তর্জাতিক জ্বালানি সংস্থার পরিসংখ্যান অনুসারে, আগামী ৪৫ বছর পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদন অব্যাহত রাখা সম্ভব হলে বিশ্বে কার্বন-ডাই-অক্সাইড নিঃস্বরণের পরিমাণ ৫৬ গিগাটন কমানো যাবে।

 

(জাস্ট নিউজ/জেআর/১০৪০ঘ.)