চেইন অব কমান্ড অনুসরণ ও গুজবে প্ররোচিত না হওয়ার আহবান সেনাপ্রধানের

চেইন অব কমান্ড অনুসরণ ও গুজবে প্ররোচিত না হওয়ার আহবান সেনাপ্রধানের জেনারেল আজিজ আহমেদ

সেনাবাহিনীর সদস্যদের চেইন অব কমান্ড অনুসরণ করা এবং কোনো ধরনের গুজবে প্ররোচিত না হওয়ার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ। তিনি বলেছেন, সেনাবাহিনী যখন ভালো কাজ করছে, তখন কুচক্রী মহল সেনাবাহিনীকে নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর অপচেষ্টা করছে।

বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সব পদবির সদস্যদের উদ্দেশে দেওয়া বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। সেনাপ্রধানের এই বক্তব্য একযোগে দেশের সব সেনানিবাসে প্রচার করা হয় বলে জানায় আইএসপিআর।

উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ২৫ জুন তিন বছরের মেয়াদে সেনাপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব পান জেনারেল আজিজ আহমেদ। বৃহস্পতিবার তাঁর দায়িত্ব গ্রহণের দুই বছর পূর্ণ হয়। সেনাপ্রধান তাঁর বক্তব্যে চলমান করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা ও ঘূর্ণিঝড় আম্পানসহ গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে দিকনির্দেশনা দেন।

সেনাপ্রধান বলেন, সাম্প্রতিককালে সেনাবাহিনী করোনাযুদ্ধে যখন ভালো কাজ করছে, তখন ওই কুচক্রী মহল সেনাবাহিনীকে নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর অপচেষ্টা করছে। সেনাবাহিনী সর্বদাই সরকার, দেশের সংবিধান ও জনগণের প্রতি দায়বদ্ধ থেকে দায়িত্ব পালনের জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ।

সেনাপ্রধান বাহিনীর সদস্যদের মনোবল অটুট রাখার লক্ষ্যে গৃহীত সময়োপযোগী কল্যাণমূলক পদক্ষেপগুলো সবাইকে অবহিত করেন এবং ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনাসমূহ উপস্থাপন করেন। তিনি সেনাসদস্যদের আবাসন সমস্যা সমাধান, জীবনবিমা সুবিধা চালু করা, দুস্থ মুক্তিযোদ্ধা ও অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্যদের কর্মসংস্থানসহ অন্যান্য কল্যাণমূলক কর্মকাণ্ডের বিস্তারিত তুলে ধরেন। করোনা মোকাবিলায় নিয়োজিত সেনাবাহিনীর সব চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীসহ সব পদবির সদস্যদের কঠোর পরিশ্রম ও মানবিক দৃষ্টিভঙ্গির ভূয়সী প্রশংসা করেন।

সেনাবাহিনী প্রধান ‘ফোর্সেস গোল-২০৩০’-এর আলোকে একটি সক্ষম সেনাবাহিনী গঠনের লক্ষ্যে গৃহীত পদক্ষেপসমূহ তুলে ধরার পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর দূরদৃষ্টিসম্পন্ন দিকনির্দেশনা ও নিরবচ্ছিন্ন সমর্থনের জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, শৃঙ্খলা সেনাবাহিনীর প্রাণ এবং আনুগত্য সেনাবাহিনীর চালিকাশক্তি—এই চেতনাকে ধারণ করে সেনাবাহিনীর সব সদস্যকে চেইন অব কমান্ড অনুসরণ করতে হবে। কোনো ধরনের গুজবে প্ররোচিত না হওয়ার জন্য নির্দেশনা দেন তিনি। সেনাপ্রধান দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে মহান স্বাধীনতাযুদ্ধের মূল্যবোধকে ধারণ করে সেনাবাহিনীর প্রতিটি সদস্যকে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে সুরক্ষার জন্য যেকোনো ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানান।