জামলাপুরের যমুনা নদীর পানি গত ২৪ ঘণ্টায় তিনগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। একদিনের ব্যবধানে পানি বেড়ে রবিবার বিপদসীমার ৫৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অথচ শনিবার পানি বিপদসীমার ১৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) পানি পরিমাপক (গেজ রিডার) আব্দুল মান্নান এ তথ্য জানিয়েছেন।
পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় নতুন করে প্লাবিত হয়েছে ইসলামপুর উপজেলার বেলগাছা, কুলকান্দি, সাপধরী ও দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার বাহাদুরাবাদ পৌরসভা। পানির তীব্র স্রোতে দেওয়ানগঞ্জের মন্ডল বাজার এলাকায় ২৫ মিটার সড়ক ভেঙে পড়ায় দেওয়ানগঞ্জ-খোলাবাড়ি সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে ২০ হাজার মানুষ। উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে পানি ঢুকে পড়েছে। বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে মেলান্দহের মাহমুদপুর-ইসলামপুরের উলিয়া সড়ক যোগাযোগ।
এছাড়া বকশীগঞ্জ উপজেলার সাধুরপাড়া, মেরুরচর এবং সরিষাবাড়ীর পিংনা, পোগলদীঘা, আওনা, কামারাবাদ ও সাতপোয়া ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলও প্লাবিত হয়েছে। সবমিলিয়ে ৪ উপজেলার অন্তত ১৫টি ইউনিয়নের ১০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। পানিতে তলিয়ে গেছে এসব এলাকার পাট, কলা ও সবজি ক্ষেত।
জেলা প্রশাসন বন্যা মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ।
পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী আবু সাইদ জানান, যমুনায় দ্রুত গতিতে পানি বাড়ছে। সেই সঙ্গে ব্রহ্মপুত্রসহ অন্যান্য নদ-নদীরও পানি বাড়ছে। বন্যা মোকাবিলায় পাউবোর কর্মীরা প্রস্তত রয়েছে।