করোনায় মানসিক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে সব বয়সী মানুষ

করোনায় মানসিক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে সব বয়সী মানুষ

করোনা ভাইরাসের ক্রমবর্ধমান বিস্তারে বাড়ছে আতঙ্ক। সঙ্গে যোগ হয়েছে মানসিক স্বাস্থ্যঝুঁকি। অতিরিক্ত মানসিক চাপ থেকে হতাশা বিষণ্ণতা আর অবসাদে সব বয়সী মানুষ। কেউ বা ভুগছেন আচরণগত সমস্যায়। মনোবিদরা বলছেন, বিশাল জনগোষ্ঠীর মনোজগতের বিপর্যয় ব্যক্তি জীবনকে করতে পারে বিপর্যস্ত।

বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাসের প্রভাবে বিপর্যস্ত মানসিক স্বাস্থ্য। মনস্তাত্ত্বিক সুরক্ষা এখনো উপেক্ষিত থাকায় মানসিক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে সব বয়সী মানুষ।

দাম্পত্য কলহ, পারিবারিক অনিশ্চয়তা, অর্থনৈতিক টানাপোড়েন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আসক্তি- সবকিছুর মিলিত ফল একরাশ ক্লান্তি আর অবসাদ। আর তা ক্রমশ রূপ নিচ্ছে হতাশা, বিষণ্ণতা আর ক্রোধে।

পারিবারিক সম্পর্কের অবনতিই শুধু নয়, অনির্দিষ্টকালের অর্থনৈতিক স্থবিরতা,পরিবারের সদস্যদের করোনা সংক্রমণের ভয়, প্রিয়জনের সুস্বাস্থ্যের বিষয়ে উদ্বেগ, আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা পাওয়া নিয়ে শঙ্কা, দীর্ঘজটে এ্যাকাডেমিক জটিলতা, ভবিষ্যতে চাকরি পাওয়া নিয়ে হতাশা। বদ্ধঘরের বন্দিত্বের চিহ্ন কারো কপালের ভাঁজে, কারো গলার ঝাঁঝে- কারো আবার তিরিক্ষি মেজাজে।

অনেকেই বলছেন, করোনার আগে ১৫টি টিউশন করতাম। এখন ৩টি টিউশন করি। করোনার কারণে অনেকের চাকুরী নেই। এভাবে মেজাজ কিভাবে ভালো থাকে?

১৪ মে প্রকাশিত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণা বলছে বর্তমান সময়ে ৯১ শতাংশ মানুষ কোনো না কোনো কারণে মানসিকভাবে উদ্বিগ্ন

মনোবিদরা বলছেন ঘরের বাড়তি কাজে নিরানন্দ সময় আর পারিবারিক কলহে দুর্বিষহ সময় কাটছে ঘরে থাকা নারীদের।

মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. মেখলা সরকার বলেন, সংসারের সমস্ত কাজ নারীদের নিজের কাঁধে না দিয়ে এটা যদি ডিস্ট্রিবিউট করা যায় হলে নারীদের কাজের চাপ কিছুটাও হলেও কমে।

জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইন্সটিটিউট ও হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ডা. হেলাল উদ্দিন আহমদ বলেন, যারা শিশু, যারা তরুণ, যারা ঘরে আছেন এবং যারা প্রবীণ তারা প্রত্যেকে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছেন।

মানসিক স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে নিজেকে উজ্জীবিত রাখার পথ নিজেকেই খুঁজে নিতে হবে- পরামর্শ মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের।

এমজে/