সুনামগঞ্জে বন্যার পানিতে ভেসে গেছে ২১ কোটি টাকার মাছ

সুনামগঞ্জে বন্যার পানিতে ভেসে গেছে ২১ কোটি টাকার মাছ

সুনামগঞ্জের সদর, বিশ্বম্ভরপুর, দোয়ারাবাজার, ছাতকসহ ১১ টি উপজেলার ২,৮৪৬টি পুকুরের মাছ ও মাছের পোণা টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে ভেসে গেছে পানিতে। এতে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন ৫শ’ এর বেশি মৎস্যচাষী। ১১ টি উপজেলায় ২১ কোটি ৪৫ লাখ টাকার মাছ ও মাছের পোণা এবং রেনু ভেসে গেছে বলে জানিয়েছে জেলা মৎস্য অফিস।

জেলা মৎস্য বিভাগের হিসেব মতে, সদর উপজেলার ১২১৮টি, বিশ্বম্ভরপুরে ৪৫০টি, দোয়ারাবাজারে ২৯৩টি, ধর্মপাশায় ৩৪২টি, ছাতকে ২১০টি, জামালগঞ্জে ১১১টি, তাহিরপুরে ৭০টি, দক্ষিণ সুনামগঞ্জে ৯০টি,শাল্লায় ৬টি দিরাইয়ে ২৬টি, জগন্নাথপুরে ৩০টি,দিরাইয়ে ২৬টি পুকুরের ১,২৬৮ মেট্রিকটন মাছ ও ১২২ মেট্রিকটন মাছের পোণা ভেসে যায়। যার বাজারদর ২০ কোটি ৩১ লাখ টাকা। বন্যায় পুকুরের পাড় ভেঙ্গে অবকাঠামোগত ক্ষতি হয়েছে ১ কোটি ১৪ লাখ টাকার।

সুনামগঞ্জ শহরের নিচু এলাকার সড়কে নৌকা দিয়ে লোকজন শহরে আসা-যাওয়া করছেন। পৌর এলাকার ৪০ ভাগ ঘরবাড়ি ও আঙ্গিনায় এখনো বন্যার পানি রয়ে গেছে। জেলা প্রশাসনের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, জেলায় ১ লাখ ২১ হাজার ৩৫৪ টি পরিবার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া ৩ হাজার ২৬৫ হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে চাল, চিড়া, মুড়ি, গুড়, বিস্কুট, দিয়াশলাই, মোমবাতি, খাবার স্যালাইন, পানি বিশুদ্ধ করণ ট্যাবলেটসহ প্রয়োজনীয় ওষুধ বিতরণ করা হয়েছে।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম আজাদ জানান, জেলায় ২,৮৪৬টি পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। জেলায় বন্যায় ৫২৯ হেক্টর জমির পুকুর ও দীঘির মাছ ভেসে যায়। সুনামগঞ্জে ১ লাখ ২১ হাজার ৭৪৩জন জেলে রয়েছেন তাদের মধ্যে মৎস্যজীবী কার্ড প্রাপ্ত জেলে রয়েছেন ৭৫ হাজার ৮৯০ জন। এদিকে নদীর পানি কমতে শুরু করায় উঁচু এলাকাগুলো থেকে বন্যার পানি নেমে গেছে কিন্তু নিচু হাওর ও সুনামগঞ্জ শহরের নিচু এলাকার পানি না নামায় লোকজন দুর্ভোগে রয়েছেন। হাওর ও শহরের নিচু এলাকার ঘরবাড়ি রাস্তাঘাটে এখনও পানি রয়ে গেছে। সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার ৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গত ২৪ ঘন্টায় ১২১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

এমজে/