দখল-দূষণ-ভরাটে মৃতপ্রায় ঢাকার প্রতিটি খাল

দখল-দূষণ-ভরাটে মৃতপ্রায় ঢাকার প্রতিটি খাল

দখল, দূষণ আর ভরাটে মৃতপ্রায় ঢাকা মহানগরীর প্রতিটি খাল। আর এ কাজে দখলদারদের সঙ্গে সমান ভূমিকা রাখছে সরকারি সংস্থাগুলো। নগরবাসী বলছেন, নানা প্রতিশ্রুতি থাকলেও কার্যত কোনো ধরনের সংস্কার হয় না খালগুলোতে। তবে বছরজুড়ে সংস্কারের দাবি করে সেবা সংস্থাগুলো বলছে, দখলদার যেই হোক খাল রক্ষায় কোনো ছাড় দেয়া হবে না।

ওয়াসার দায়িত্বে থাকা নগরীর ২৬টি খালই দখলের প্রতিযোগিতা চলছে। এ প্রতিযোগিতায় অংগ্রহণের দায় নিতে হবে সরকারি সংস্থাগুলোকেও। যেমন বনশ্রী এলাকায় খাল দখল করেই ডাম্পিং স্টেশন বসিয়েছে উত্তর সিটি করেপারেশন। এ যখন অবস্থা তখন বসে নেই অন্য দখলদাররাও।

খালের উপর দোকান বসিয়ে বাঁশ বিক্রি করা এক ব্যবসায়ী জানান, তিনি ইস্টার্ন হাউজিংকে টাকা দেন।

ইস্টার্ন হাউজিং বলছে, ওয়াসার যে জায়গা আছে, তাতে ওয়াসা ম্যাপ দিয়ে খাল কেটেছে। এখন যদি কোথাও বাদ দিয়ে কোথাও কাটে, এটা তারা দেখবে।

এবার নজর দেয়া যাক নিয়মিত পরিচ্ছন্নতা ও খনন কাজের দিকে। বছরজুড়ে খাল রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান ওয়াসা। রয়েছে প্রতি বছর শত কোটি টাকার নতুন নতুন প্রকল্প গ্রহণের রেকর্ড। কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন। সময় সংবাদ, ওয়াসা নিয়ন্ত্রিত অধিকাংশ খালে অনুসন্ধান করে সংস্কারের কোনো চিত্র দেখতে পায়নি।

নগরবাসী জানান, কচুরিপনা হতে ১৫-২০ দিন সময় লাগবে। এটা যদি দুই-একদিন পর পরিষ্কার করে তাহলে এমন হবে না।

পরিবেশবাদীদের আক্ষেপ সংস্থাগুলোর প্রকল্প গ্রহণের আগ্রহের মত রক্ষাবেক্ষণের আগ্রহ নেই। যদিও ওয়াসা এমডির দাবি, তারা কাজ করে যাচ্ছেন।

ওয়াসা এমডি তাকসিম এ খান বলেন, খাল দখল করে কেউ কিছু করবে-সেটা হতে দেয়া হবে না। এটার জন্য আমরা নোটিশ দেই। এবং জেলা প্রশাসককে বিষয়টি জানাই।

বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, প্রকল্পগুলো নেয়া হয় খুবই মাথাভারী প্রশাসন থেকে। দেখা যায়, ড্রেজার কিনতে প্রচুর টাকা ব্যয় হয়ে যায়।

১৯৮৫ সালের রেকর্ডে ঢাকায় ৫৪টি খাল থাকলেও বর্তমানে খালের সংখ্যা ২৬টি। এসব খালের মালিকানা ঢাকা জেলা প্রশাসনের। তবে দেখভালের দায়িত্ব ঢাকা ওয়াসার।

এমজে/