টিভিতে ক্লাস করতে পারছে না প্রাথমিকের ৪১ শতাংশ শিক্ষার্থী

টিভিতে ক্লাস করতে পারছে না প্রাথমিকের ৪১ শতাংশ শিক্ষার্থী

করোনা মহামারীর কারণে দীর্ঘদিন স্কুলগুলো বন্ধ থাকায় টেলিভিশনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করা হচ্ছে। কিন্তু বাস্তবতা হলো নানা সীমাবদ্ধতার কারণে প্রাথমিকের মাত্র ৫২ থেকে ৫৯ শতাংশ শিক্ষার্থীর কাছে এই টেলিভিশন ক্লাস পৌঁছানো যাচ্ছে। অর্থাৎ ৪১ শতাংশ প্রাথমিক শিক্ষার্থীই এখনো রয়ে গেছে টেলিভিশন নেটওয়ার্কের বাইরে। তাই এবার শতভাগ শিক্ষার্থীকে অনলাইনভিত্তিক ক্লাসে সম্পৃক্ত করতে রেডিও এবং মোবাইল অ্যাপ চালুর চিন্তা করছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানান, সংসদ টেলিভিশনে ক্লাস প্রচার করে ৫২ থেকে ৫৯ শতাংশ শিক্ষার্থীর কাছে পাঠ পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে। বাকি ৪১ শতাংশ শিক্ষার্থী এখনো টেলিভিশন নেটওয়ার্কের বাইরে। তাদের জন্য রেডিওতে পাঠ প্রচার শুরু হলে আরও ২০ থেকে ২৫ শতাংশ শিক্ষার্থীর কাছে পৌঁছানো যাবে। একই সঙ্গে মোবাইল অ্যাপ চালু হলে বাকিরাও অনলাইন ক্লাসের আওতায় আসবে। একাধিক প্ল্যাটফরম হলে কোনো না কোনোভাবে শিক্ষার্থীরা ক্লাসের সুবিধা নিতে পারবে।

জানা গেছে, প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের পাঠদানের জন্য যে অ্যাপটি তৈরি হচ্ছে, তার নাম হবে ‘হ্যালো টিচার’। এটি ব্যবহারের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা পছন্দের শিক্ষক বাছাই করে তার কাছ থেকে পরামর্শ নিতে পারবে। গণিত, ইংরেজি, বাংলা, বিজ্ঞানসহ নির্দিষ্ট বিষয়ের শিক্ষক বাছাই করে পাঠ সম্পর্কে বুঝতে ও জানতে পারবে। এ প্রসঙ্গে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. ফসিউল্লাহ বলেন, ‘সরকারের আইসিটি বিভাগ এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) প্রকল্প থেকে এই অ্যাপ তৈরিতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরকে সহায়তা করা হচ্ছে। শিগগিরই অ্যাপটি চালু করা যাবে বলে আশা করছি।’

এদিকে টেলিভিশনে ‘ঘরে বসে শিখি’ কার্যক্রমে আরও বেশিসংখ্যক শিক্ষার্থী যেন যুক্ত হয় সে জন্য ফোনের মাধ্যমে অভিভাবকদের সঙ্গে শিক্ষকদের যোগাযোগ করতে নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রণালয়। সেই সঙ্গে পাঠ প্রচারের সময়সূচি স্থানীয় মসজিদের মাইকের ঘোষণার উদ্যোগও নেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার যে ক্ষতি হয়েছে, তা পুষিয়ে নিতে মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের তদারকি অ্যাকশন প্ল্যান তৈরি করে তা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে পাঠানোর জন্যও বলা হয়েছে মন্ত্রণালয় থেকে। প্রত্যেক প্রাথমিক বিদ্যালয়কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নিজেদের নামে ফেসবুক আইডি খুলতে। শিক্ষকদের পাঠদান কার্যক্রম ভিডিও করে ওই ফেসবুকে আইডিতে আপলোড দিতে হবে স্কুলগুলোকে।

এমজে/