এবার নাফ নদের তীরে মিয়ানমার সেনা

এবার নাফ নদের তীরে মিয়ানমার সেনা

টেকনাফ, ৫ মার্চ (জাস্ট নিউজ) : তুমব্রু পর এবার কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তের ওপারে নাফ নদের তীরে অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করেছে মিয়ানমার। রবিবার সন্ধ্যা থেকে রাখাইন রাজ্যে মংডু এলাকার এক নম্বর সেক্টর থেকে সীমান্ত জুড় অতিরিক্তি সেনা মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অনুপ্রবেশকারী ও রোহিঙ্গা নেতারা।

এর আগে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে গত বৃহস্পতিবার ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু সীমান্তে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ সেনা সমাবেশ ঘটায়। এ নিয়ে উত্তেজনা দেখা দিলে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) পক্ষ থেকে পতাকা বৈঠকের প্রস্তাব দেওয়া হয়। পরদিন শুক্রবার বিকালে ঘুমধুম সীমান্তের মৈত্রী সেতু এলাকায় বিজিবি এবং বিজিপির মধ্যে দেড় ঘণ্টা পতাকা বৈঠক হয়। এরপর সীমান্তে উত্তেজনা কমে আসে। কিন্তু তার একদিন পর রোববার আবারও তুমব্রু সীমান্তে সেনা মোতায়েন করে মিয়ানমার।

টেকনাফের লেদা রোহিঙ্গা শিবিরের নেতা আবদুল মতলব বলেন, তুমব্রু সীমান্তে অতিরিক্তি সেনা ও ভারী অস্ত্রের সমাবেশ ঘটানোর পর এবার টেকনাফের নাফ নদের তীরে মিয়ানমার সীমান্তে সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। অনুপ্রবেশকারীদের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, সেনাবাহিনী বড় বড় গাড়ি নিয়ে রাত-দিন টহল দিচ্ছে।

সোমবার টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের হারিয়াখালী সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে চার পরিবারের ১৩ জন রোহিঙ্গা বাংলাদেশে এসেছেন বলে জানিয়েছেন সেনাবাহিনীর সাবরাং হারিয়াখালী ত্রাণ কেন্দ্রে দায়িত্বরত জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি ও টেকনাফ উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন। তিনি জানান, গত কয়েকদিন ধরে এই পয়েন্ট দিয়ে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ বন্ধ থাকলেও আবারও আসতে শুরু করেছে। যেসব রোহিঙ্গা ঢুকে পড়েছে, তাদের মানবিক সহতায় দিয়ে নয়াপাড়া রোহিঙ্গা শিবিরে পাঠানো হয়েছে।

সদ্য অনুপ্রবেশকারী নুর আলম (৫৫) জানান, রবিবার সন্ধ্যায় ৫০ জনের একটি দল বাংলাদেশে পালিয়ে আসার জন্য মংডুর হাসসুরাতা রওনা দেয়। পথে তারা দেখতে পান সারি সারি গাড়ি টহল দিচ্ছে। পরে দলটি এলোমেল হয়ে যায়। তারমধ্যে ১০ জনের মতো একটি দল মিয়ানমার সীমান্তে পৌঁছায়। এরপর তারা নৌকায় নাফ নদ পেরিয়ে বাংলাদেশে ঢুকে পড়েন। বাকিরা কে কোথায় জানা নেই।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রবিউল হাসান বলেন, নাফ নদের ওপারে সীমান্তে মিয়ানমার সেনা মোতায়েনের খবর সংবাদকর্মীদের কাছ থেকে শুনেছি। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক কাজী আবদুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে।

(জাস্ট নিউজ/একে/১৯৩৬ঘ.)