মেয়াদোত্তীর্ণ লাইসেন্সে চলছে ১১ হাজার বেসরকারি হাসপাতাল-ডায়াগনস্টিক

মেয়াদোত্তীর্ণ লাইসেন্সে চলছে ১১ হাজার বেসরকারি হাসপাতাল-ডায়াগনস্টিক

মেয়াদোত্তীর্ণ লাইসেন্স দিয়েই চলছে দেশে প্রায় ১১ হাজার রেজিস্টার্ড বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার। তালিকায় আছে বারডেম, হলি ফ্যামিলি কিংবা আনোয়ার খান মর্ডানের মতো নামকরা হাসপাতালও। আছে, আইসিডিডিআর'বি এর মতো প্রতিষ্ঠানও। এদের অধিকাংশেরই মেয়াদ শেষ হয়েছে দুই তিন বছর আগে। তবে এ অবস্থার জন্য লাইসেন্স প্রক্রিয়ার দীর্ঘসূত্রতাকে দুষছে বিপিএমসিএ। বিষয়টিতে নজরদারি নেই স্বাস্থ্য অধিদফতরেরও।

রিজেন্ট কেলেঙ্কারিতে সবারই প্রশ্ন লাইসেন্স নবায়ন নেই এমন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কেন চুক্তিতে গেলো স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। তাহলে অন্য হাসপাতালগুলোর কি অবস্থা? অনুসন্ধানে নামে সময় সংবাদ। বের হয়ে আসতে থাকে একের পর এক থলের বিড়াল। অধিদপ্তরের হিসেবে সারা দেশে মোট হাসপাতালের সংখ্যা ১০ হাজার ৯২৬। আর এর মধ্যে ২০১৯-২০ পর্যন্ত লাইসেন্স নবায়ন আছে মাত্র চার হাজার ১৫৯ টি।

আরো অবাক করার বিষয় এই তালিকায় আছে বারডেম হাসপাতাল। যদিও এ নিয়ে জানতে চাইলে কোন ক্যামেরার সামনে কথা বলেননি প্রতিষ্ঠানটির কেউ।

তালিকায় আরেকটি বড় নাম রেডক্রিসেন্ট হলিফ্যামিলি । হাসপাতালটির পরিচালক বলছেন নবায়ন প্রক্রিয়াধীন। সিটি করপোরেশনের সঙ্গে দরকষাকষিতে আটকে আছে তাদের এই কার্যক্রম।

হলি ফ্যামেলির হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ মুর্শিদ বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছুই বলতে পারবো না। এটা একটা প্রসেসের মধ্যে রয়েছে; হয়ে যাবে।

একই অবস্থা আনোয়ার খান মর্ডানেরও। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে মেয়াদ শেষে তারা আবেদন করেছে নবায়নের। যদিও এনিয়ে মুখ খোলেনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

বিষ্মিতই হতে হয় যখন আইসিডিডিআর’বি মত প্রতিষ্ঠান জানেই না তাদের নবায়নের মেয়াদ শেষ। তালিকায় আছে সাহাবুদ্দিন মেডিকেলের মতো প্রতিষ্ঠান। এসব প্রতিষ্ঠানগুলো কেউই রাজি নয় কথা বলতে।

এ জন্য অধিদপ্তরের অক্ষমতাকে দুষছেন বেসরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সংগঠন ।

বিপিএমসিএ-এর সভাপতি ডা. মুবিন খান বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের যে লোকবল তা দিয়ে ১০ হাজার হাসপাতালের লাইসেন্সের বিষয়ে কাজ করা খুবই দুরূহ।

তবে প্রক্রিয়াধীন থাকা প্রায় তিন হাজার লাইসেন্স নবায়নের কাজ এখনো ঝুলে আছে। আর যারা বছরের পর বছর নবায়ন করেনি তাদের বেলায় কি সিদ্ধান্ত- এ নিয়ে জানতে অধিদপ্তরের হাসপাতাল পরিচালকের সঙ্গে কথা বলতে যায় সময় সংবাদ।

তিনি ক্যামেরর সামনে কথা না বলে উল্টো বোঝালেন আইনের সাত পাঁচ।

পরে মহাপরিচালকেন সঙ্গে যোগাযোগ করেও কোনো সাড়া মেলেনি।

এমজে/