গ্রেপ্তারের পর সাহেদকে গণধোলাই দিতে চেয়েছিল এলাকাবাসী

গ্রেপ্তারের পর সাহেদকে গণধোলাই দিতে চেয়েছিল এলাকাবাসী

গ্রেপ্তারের পর রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাহেদকে গণধোলাই দিতে চেয়েছিল এলাকাবাসী। এ রকম একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, এক লোক লাঠি দিয়ে সাহেদকে আঘাত করছে। অপর একজন বলছে, সবাই মিলে একে মারা উচিত।

এর আগে রিজেন্ট হাসপাতাল প্রতারণা মামলার প্রধান পলাতক আসামি ও রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদকে গ্রেপ্তার করা হয়। বুধবার সকালে সাতক্ষীরা সীমান্ত থেকে অবৈধ অস্ত্রসহ তাকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব।

র‍্যাব জানায়, দালালদের মাধ্যমে সীমান্ত পার হয়ে পালানোর চেষ্টা করছে সাহেদ- এমন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালায় র‍্যাব। সারা রাত অভিযান শেষে সকাল ৫টা ১০ মিনিটে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় সাহেদের সঙ্গে ৩ রাউন্ড গুলিসহ অবৈধ পিস্তল পাওয়া যায়।

র‍্যাব আরো জানায়, বোরকা পরে নৌকায় করে পালিয়ে যাচ্ছিলেন সাহেদ। নৌকায় উঠার আগে নদীর পাড় থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় সাহেদকে পারপার করা নৌকার মাঝি সাঁতরে পালিয়ে যায়। তবে সাহেদ মোটা থাকার কারণে দৌড়ে পালাতে পারেনি বলে জানায় র‍্যাব।

র‍্যাব বলেন, সাতক্ষীরায় সাহেদ ঘন ঘন অবস্থান পরিবর্তন করছিল। যাতে চিনতে না পারা যায় এজন্য চুলের রং সাদা থেকে কালো করে সাহেদ। গোঁফ কেটে ফেলেছিল। তার পরিকল্পনা ছিল মাথা ন্যাড়া করে ফেলা।

এদিকে, সাহেদের গ্রেপ্তারের পর দেবহাটা উপজেলার কোমরপুর গ্রামবাসী আনন্দমিছিল করেছে। এ সময় এলাকাবাসী স্লোগান দেয়, চোরের ১০ দিন গৃহস্থের একদিন। গ্রামবাসী সাহেদকে গ্রেপ্তার করায় র‍্যাবকে ধন্যবাদ জানায়।