ভ্যাপসা গরমে এক পশলা বৃষ্টিতে স্বস্তি

ভ্যাপসা গরমে এক পশলা বৃষ্টিতে স্বস্তি

কয়েক দিনের অস্বস্তিকর গরমের পর হঠাৎ এক পশলা বৃষ্টি স্বস্তি এনে দিয়েছে নগরজীবনে। ভ্যাপসা গরমের হাঁসফাঁস কাটিয়ে ঝিরঝিরে অনুভূত হচ্ছে শরীরে।

ঈদের দিন থেকে কয়েকটা দিন প্রচণ্ড গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল নগরজীবন। ভ্যাপসা গরমে কোরবানির পশুর মাংস খেয়ে অনেকে অসুস্থবোধ করছেন। অবশেষে নগরবাসীকে স্বস্তি দিয়ে বেলা ১১টায় আকাশ কালো করে ঝমঝমিয়ে নামে বৃষ্টি।

মঙ্গলবার রাজধানী ও আশপাশের এলাকায় ঘণ্টাব্যাপী এ বৃষ্টিতে শীতল হয়েছে প্রকৃতি। তবে হঠাৎ করে আসা এ বৃষ্টিতে সঙ্গে ছাতা না থাকায় কাকভেজা হয়ে যান অনেকে। বৃষ্টির অজুহাতে রিকশাচালকরাও হাঁকিয়ে নেন বাড়তি ভাড়া। নগরীর বিভিন্ন এলাকায় দেখা গেছে এমন চিত্র।

ভরা বর্ষার এই সময়েও গত কয়েক দিন বৃষ্টি হয়নি। প্রচণ্ড রোদের সঙ্গে বাতাস নেই। ঢাকা, খুলনাসহ অনেক জায়গায় বয়ে যাচ্ছিল মৃদু তাপপ্রবাহ। এরই মধ্যে সাগরে লঘুচাপ থাকায় বাতাসে আর্দ্রতা বেড়ে যাওয়ায় ভ্যাপসা গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা হয় দেশবাসীর।

সোমবার যশোরে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ওঠে ৩৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর ঢাকায় ছিল ৩৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সোমবার রাতেও প্রচণ্ড গরম ছিল। মঙ্গলবার সকালেও তাপ কমেনি। জীবন অতিষ্ঠ হওয়ার জো। বেলা ১১টার পর দেশের বিভিন্ন জায়গায় বৃষ্টি হয়।

এদিকে আজ সকালে আবহাওয়া অধিদফতর থেকে বলা হয়েছে, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এর প্রভাবে এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকার কারণে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্রবন্দরগুলোর ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। দেশের সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি এসে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।

এমজে/