এমপির অশ্লীল গালিগালাজের প্রতিবাদে নারী নেত্রীর সংবাদ সম্মেলন

এমপির অশ্লীল গালিগালাজের প্রতিবাদে নারী নেত্রীর সংবাদ সম্মেলন

বরগুনা-২ আসনের সংসদ সদস্য ও বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শওকত হাচানুর রহমান রিমনের বিরুদ্ধে অশ্লীল গালিগালাজের অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির ত্রাণ ও পূর্ণবাসন সম্পাদিকা হোসনেয়ারা রানী।

বৃহস্পতিবার দুপুরে, বরগুনা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে তিনি এ সংবাদ সম্মেলন করেন। এ সময় তিনি পুরো ঘটনার তদন্ত পূর্বক সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ঈদুল আযহার রাতে পাথরঘাটা উপজেলার কাঠালতলী ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম খলিলকে এমপি রিমন ফোন করে অশ্লীল গালিগালাজ ও মারধরের হুমকি দেয়। একপর্যায়ে আমাকে ও আমার মাকে তুলেও অশ্লীল গালিগালাজ করেন তিনি।

তিনি বলেন, কাঠালতলী ইউনিয়নের নলী বাজারে ইব্রাহিম একটি ঘর তুলতে গেলে এমপির লোকজন তাকে বাধা দেয়। বিষয়টি নিয়ে আমি এমপির সাথে আলোচনা করলে এমপি আমাকে বিষয়টি সমাধানের জন্য বলেন। পরে এমপির সাথে আমার কথা হয়েছে জানিয়ে ইব্রাহিমকে ঘর তুলতে বলি। এরপরও একজন সংসদ সদস্য কিভাবে একজন ব্যক্তিকে এভাবে হুমকি দেয় এবং অশালীন ভাষায় গালিগালাজ করেন সেটা আমার বোধগম্য নয়।

তিনি আরও বলেন, সাংসদ রিমনের বাবা ছিলেন একজন চিহ্নিত রাজাকার। তার বাবার নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধচলাকালীন সময় হত্যা, হামলা, লুট, অগ্নি সংযোগসহ বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগ রয়েছে। এরই ধারাবিহকতায় তিনি এলাকার আওয়ামী লীগ কর্মীদের সাথে বিরুপ আচরণ ও ত্যাগী নেতাদের দূরে সরিয়ে একদল সুযোগ সন্ধানী লোকজন নিয়ে চলাফেরা করেন।

হোসনেয়ারা রানী বলেন, আমাকে অশ্লীল গালিগালাজের বিষয়টি আমি জেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ ও কেন্দ্রীয় মহিলা আওয়ামী লীগকে অবহিত করেছি। আমি এমপি রিমন ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর ভয়ে এখন শঙ্কিত। এ ঘটনায় তার গালিগালাজের একটি অডিও রেকর্ড ইতোমধ্যে ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। আমি এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে তদন্ত করে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।

এ বিষয়ে বরগুনা- ২ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি শওকত হাচানুর রহমান রিমনের সাথে যোগাযোগ করা হলে ইব্রাহিম খলিলকে গালিগালাজের বিষয়টি স্বীকার করলেও নারী নেত্রীকে গালিগালাজের বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে বলেন, সরকারি জমিতে ঘর নির্মাণ করতে গেলে আমি সংসদ সদস্য হিসেবে বাধা দিয়েছি।