পেঁয়াজের রফতানি মূল্য বৃদ্ধি, দেশে দাম বাড়ার আশঙ্কা

পেঁয়াজের রফতানি মূল্য বৃদ্ধি, দেশে দাম বাড়ার আশঙ্কা

দেশের বাজারে যখন পেঁয়াজের দাম প্রতিনিয়ত বাড়ছে তখন আরেক দফা পেঁয়াজের রফতানি মূল্য বাড়িয়ে দিয়েছে ভারতীয় ব্যবসায়ীরা।

তবে সরকারিভাবে মূল্য বাড়ানো না হলেও ভারতীয় ব্যবসায়ীরা সেদেশে বন্যায় পেঁয়াজের যোগান কমে যাওয়ার অজুহাতে সিন্ডিকেট করে এই মূল্য বাড়িয়ে দিয়েছেন বলে জানা গেছে। ফলে পেঁয়াজের মূল্য আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারকরা।

বন্দরের আমদানিকারক মোবারক হোসেন জানান, গত বুধবার পর্যন্ত ভারত থেকে প্রতি মেট্রিক টন পেঁয়াজ আগের মূল্যে অর্থাৎ ১৫০-২৫০ যুক্তরাষ্ট্রের ডলারে আমদানি করা হচ্ছিল। তখন সেই পেঁয়াজ বন্দরের মোকামে ৩৫-৩৬ টাকায় পাইকারি বিক্রি হয়। কিন্তু গত বৃহস্পতিবার থেকে ভারতীয় ব্যবসায়ীরা মূল্য বাড়িয়ে ৩০০-৪২০ ডলার নির্ধারণ করায় বর্তমানে আমদানি করা পেঁয়াজ ৩৭-৩৮ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে।

তিনি জানান, ভারতে বন্যার কারণে পেঁয়াজের সংকটের কথা বলে সেখানকার ব্যবসায়ীরা মূল্য বাড়িয়েছেন। তবে পেঁয়াজ আমদানিতে সরকার ৫ শতাংশ শুল্কহার প্রত্যাহার করে নিলে মূল্য কমে যাবে।

এদিকে ভারতের হিলি স্থলবন্দরের রফতানিকারক সনু মজুমদার বলেন, ভারতের পেঁয়াজ উৎপাদন অঞ্চলগুলোতে বন্যায় পেঁয়াজের ফলনে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে ব্যাঙ্গালুরুতে। এই ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে আগামী দুই মাস পর্যন্ত আমাদের অপেক্ষা করতে হবে। তখন আবার নতুন পেঁয়াজ উঠলে পেঁয়াজের সরবরাহ স্বাভাবিক হবে। ফলে বাংলাদেশে বেশি পরিমাণে রফতানি করা যাবে। বর্তমানে ভারতের বাজারে পেঁয়াজের দাম অনেক।

তবে ভারতের ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশে পেঁয়াজ রফতানিতে দাম বাড়াচ্ছেন এমন অভিযোগ মানতে চাননি তিনি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আগের চেয়ে পেঁয়াজ আমদানি এখন কম হচ্ছে।