রিফাত হত্যা মামলার রায় ৩০ সেপ্টেম্বর

রিফাত হত্যা মামলার রায় ৩০ সেপ্টেম্বর

বহুল আলোচিত বরগুনার রিফাত শরীফ হত্যা মামলার প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির রায়ের তারিখ ধার্য করেছেন আদালত। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর এ রায় ঘোষণা করা হবে।

বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টায় বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান এ রায়ের দিন ঘোষণা করেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, রিফাত হত্যা মামলার প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির বিরুদ্ধে ৭৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে এক আসামির পক্ষে সাফাই সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত। এরপর সব আসামির পক্ষে-বিপক্ষে আদালতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন সংশ্লিষ্ট আইনজীবীরা।

নিহত রিফাতের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নির পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আদালত এ রায়ের দিন ধার্য করেন।

সকালে মিন্নির আইনজীবী মাহবুবুল বারী আসলাম জানান, উচ্চ আদালতের আদেশে জামিনে থাকা নিহত রিফাতের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নির জামিনের মেয়াদও শেষ। তার জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় আবার আবেদন করা হবে।

এর আগে গত ৬ সেপ্টেম্বর বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু হয়। এ মামলায় ৭৬ জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন।

গত বছরের ২৬ জুন সকালে বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে রিফাত শরীফকে তার স্ত্রী মিন্নির সামনে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে সন্ত্রাসীরা। এরপর রিফাতকে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনার পর ওই দিন বিকেলে তিনি মারা যান। পরদিন ২৭ জুন রিফাতের বাবা আবদুল হালিম শরীফ বাদী হয়ে বরগুনা থানায় ১২ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা করেন। এই মামলায় একমাত্র প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে প্রধান সাক্ষী করা হয় মিন্নিকে।

পরে গত ১ সেপ্টেম্বর রিফাত শরীফের স্ত্রী মিন্নিসহ প্রাপ্তবয়স্ক ও অপ্রাপ্তবয়স্ক ২৪ জনের নামে পৃথক দুটি অভিযোগপত্র আদালতে দাখিল করে পুলিশ। এরমধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক ১০ জন এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ জন। মো. মুসা নামের এক আসামি এখনো পলাতক রয়েছেন।

চলতি বছরের ১ জানুয়ারি প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আছাদুজ্জামান।

রিফাত হত্যা মামলার প্রাপ্তবয়স্ক আসামিরা হলেন- রাকিবুল হাসান রিফাত ফরাজি, আল কাইউম ওরফে রাব্বি আকন, মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত, রেজওয়ান আলী খান হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয়, মো. হাসান, মো. মুসা, আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি, রাফিউল ইসলাম রাব্বি, মো. সাগর ও কামরুল ইসলাম সাইমুন।

এমজে/