মামুনকে সাময়িক অব্যাহতি

ঢাবি ছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগ তদন্তে ছাত্র অধিকার পরিষদের কমিটি

ঢাবি ছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগ তদন্তে ছাত্র অধিকার পরিষদের কমিটি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে অপহরণ, ধর্ষণ ও ধর্ষণে সহযোগিতার অভিযোগে করা দুই মামলার মূল আসামি ছাত্র অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুনকে সংগঠন থেকে সাময়িকভাবে অব্যাহতি দিয়ে ঘটনা তদন্তে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

বুধবার বিকেলে পরিষদের যুগ্ম আহবায়ক মুহাম্মদ রাশেদ খাঁন স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, তদন্ত কমিটিকে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সুপারিশসহ ঘটনার বিস্তারিত তথ্য কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের নিকট প্রেরণ করার নির্দেশ প্রদান করেছে। এ ঘটনার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের স্বার্থে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুনকে সাময়িকভাবে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হচ্ছে।

তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটিতে রয়েছে, পরিষদের ঢাবি সভাপতি বিন ইয়ামিন ও কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহবায়ক তারেক রহমান এবং রাফিয়া সুলতানা।

গত ২১ সেপ্টেম্বর সোমবার রাজধানীর কোতোয়ালী থানায় একটি মামলা করা হয়। এতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরসহ ছয়জনকে আসামি করা হয়েছে। তার আগে রোববার বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ, সহায়তা ও হুমকির অভিযোগে নুরসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে লালবাগ থানায় প্রথম মামলাটি করা হয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষে ইসলামিক স্টাডিজ পড়ুয়া এক ছাত্রী ওই মামলা করেন। ওই ছাত্রীই কোতোয়ালী থানার মামলাটিও করেছেন বলে জানা গেছে। তিনি বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের ছাত্রী।

লালবাগ থানার মামলার বর্ণনায় ওই ছাত্রী হাসান আল মামুনের সাথে প্রেম ও প্রণয়ের কথা জানিয়ে বিয়ে নিয়ে টালবাহানার অভিযোগ তুলেছেন।

এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন, ছাত্র অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক নাজমুল হাসান, মো: সাইফুল ইসলাম, মো: নাজমুল হুদা ও মো: আবদুল্লাহ হিল বাকী।

একই তরুণীর করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলার মূল আসামি পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক নাজমুল হাসান। তিন নম্বর আসামি ডাকসুর সদ্য সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর। বাকিরা হলেন, আহ্বায়ক হাসান আল মামুন, যুগ্ম আহ্বায়ক মো: সাইফুল ইসলাম, মো: নাজমুল হুদা ও মো: আবদুল্লাহ হিল বাকী।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরসহ ছাত্র অধিকার পরিষদের কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী। মামলা দুটিতে অভিযোগ তোলা হয়েছে, অপহরণ, ধর্ষণ ও ধর্ষণে সহযোগিতা। এছাড়া ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনেও অভিযোগ করা হয়।