এমসি কলেজে স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে গণধর্ষণের মামলায় ছাত্রলীগের ৬ জনই গ্রেফতার

এমসি কলেজে স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে গণধর্ষণের মামলায় ছাত্রলীগের ৬ জনই গ্রেফতার

এমসি কলেজে স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে গণধর্ষণের মামলায় ছাত্রলীগের ৬ আসামিকেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

আজ সোমবার ভোরে গ্রেফতার করা হয়েছে রাজন ও আইনুলকে। এই দুজনসহ মামলায় নাম উল্লেখ করা ৬ জনই গ্রেফতার হলো। এর আগে গতরাতে মামলার ৩নং আসামি ছাত্রলীগ নেতা মাহবুবুর রহমান রনি (২৮) ও ৫নং আসামি রবিউল ইসলাম ধরা পড়ে।

মাহবুবুর রহমান রনিকে শায়েস্তাগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। রবিউল ইসলামকে হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ওইদিন সকাল ৮টার দিকে সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা নোয়ারাই খেয়াঘাট থেকে মামলার প্রধান আসামি সাইফুর রহমানকে গ্রেফতার করা হয়। আর হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার মনতলা সীমান্ত এলাকা থেকে জকিগঞ্জের আটগ্রামের কানু লস্করের ছেলে অর্জুন লস্করকে গ্রেফতার করেছে সিলেট জেলা পুলিশ।

গত শুক্রবার এমসি কলেজে স্বামীর সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার হন এক গৃহবধূ। রাত সাড়ে ৮টার দিকে স্বামীর কাছ থেকে ওই গৃহবধূকে জোর করে তুলে নিয়ে ছাত্রাবাসে ধর্ষণ করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ সময় কলেজের সামনে তার স্বামীকে আটকে রাখে দুজন।

এ ঘটনায় ভিকটিমের স্বামী বাদী হয়ে শাহপরান থানায় মামলা করেছেন। মামলা ছাত্রলীগের ৬ নেতাকর্মীসহ অজ্ঞাত আরও ৩ জনকে আসামি করা হয়েছে।

এজাহার অনুযায়ী মামলার প্রধান আসামিরা হলো- সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার উমেদনগরের রফিকুল ইসলামের ছেলে তারেকুল ইসলাম তারেক (২৮), হবিগঞ্জ সদরের বাগুনীপাড়ার মো. জাহাঙ্গীর মিয়ার ছেলে শাহ মো. মাহবুবুর রহমান রনি (২৫), জকিগঞ্জের আটগ্রামের কানু লস্করের ছেলে অর্জুন লস্কর (২৫), দিরাই উপজেলার বড়নগদীপুর (জগদল) গ্রামের রবিউল ইসলাম (২৫) ও কানাইঘাটের গাছবাড়ি গ্রামের মাহফুজুর রহমান মাসুম (২৫)। এদের মধ্যে তারেক ও অর্জুন শিক্ষার্থী নয়।

এমজে/