পুলিশ ফাঁড়িতে রায়হান হত্যা: কনস্টেবল হারুন গ্রেফতার

পুলিশ ফাঁড়িতে রায়হান হত্যা: কনস্টেবল হারুন গ্রেফতার

সিলেটে পুলিশি নির্যাতনে রায়হান নিহতের ঘটনায় সাময়িক বরখাস্তকৃত বন্দর বাজার ফাঁড়ির কনস্টেবল হারুনুর রশিদকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

শুক্রবার রাতে এসএমপি রিজার্ভ কার্যালয় থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয় বলে যুগান্তরকে নিশ্চিত করেছেন পিবিআই সিলেটের পুলিশ সুপার খালেদুজ্জামান।

তিনি জানান, শনিবার তাকে আদালতে তোলা হবে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাতদিনের রিমান্ড আবেদন জানানো হবে। হারুনুর রশিদসহ এ মামলায় এখন পর্যন্ত দুজনকে গ্রফতার করলো পিবিআই।

এর আগে কনস্টেবল টিটু চন্দ্রকে গ্রেফতার করা হয়। রায়হান হত্যার ঘটনায় গত ১২ অক্টোবর এসআই আকবর ও কনস্টেবল হারুনুর রশিদসহ চারজনকে সাময়িক বরখাস্ত ও তিনজনকে প্রত্যাহার করে এসএমপি।

এর মধ্যে পালিয়ে যায় আকবর।  বাকি ছয়জনকে কড়া নিরাপত্তায় এসএমপি পুলিশ লাইনে রাখা হয়।

প্রসঙ্গত, গত ১১ অক্টোবর সিলেটের বন্দরবাজার ফাঁড়িতে ধরে নিয়ে টাকার জন্য অমানবিক নির্যাতন করা হয় নগরীর নেহারিপাড়া এলাকার বাসিন্দা রায়হানকে (৩৩)। ভোরে তার মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় রোববার দিবাগত রাতে সিলেট কোতোয়ালি থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন নিহত রায়হানের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার তান্নি।

মামলায় নিহতের স্ত্রী উল্লেখ করেন, বন্দরবাজার ফাঁড়িতে পুলিশি নির্যাতনেই রায়হানের মৃত্যু হয়েছে।

গত ১০ অক্টোবর রাতে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতনের তদন্তে গত ১১ অক্টোবর এসএমপির উপকমিশনার (ডিসি-উত্তর) আজবাহার আলী শেখের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়। বন্দরবাজার ফাঁড়িতেই পুলিশের নির্যাতনে রায়হানের মৃত্যুর বিষয়ে প্রাথমিক তদন্তে প্রমাণ পায় তদন্ত কমিটি।

তদন্ত কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী, নির্যাতনে সরাসরি অংশগ্রহণের জন্য বন্দর ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন কনস্টেবল তৌহিদ মিয়া, টিটু চন্দ্র দাস ও হারুনুর রশীদকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। আর রায়হানকে ধরে ফাঁড়িতে আনার জন্য বন্দরবাজার ফাঁড়ি থেকে প্রত্যাহার করা হয় এএসআই আশেক এলাহী, কুতুব আলী, কনস্টেবল সজীব হোসেনকে।